পৃথিবীর মানুষ অচিরেই বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে-তথ্যমন্ত্রী ।

Loading

মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ-সিনিয়র তথ্য অফিসার : সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান।

এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অব্যাহতভাবে শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে ক’দিন পরেই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের বদলে যাবার গল্প কেউ শুনবেনা, বরং পৃথিবীর মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ৪২ বছর পরও আমরা সেই রেকর্ড করা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারিনি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেটি অতিক্রম করতে পেরেছে। এখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শেখ হাসিনাকে সময় দিতে হবে।’

‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে। মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্নের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন সন্ধ্যার পর বাসি ভাত খোঁজা ভিক্ষুকের ডাক শোনা যায়না। বস্ত্রেও সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগে ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যেতো, এখন তা দেখা যায়না। আগে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় আসতো সেটা হকারস মার্কেট থেকে কিনে মানুষ পরতো। আর এখন বাংলাদেশ থেকে সেলাই করা নতুন কাপড় বিদেশে যায়, সেগুলো সেখানকার বড় বড় শপিংমলে বিক্রি হয়। আর বাসস্থান ছাড়া দেশে এখন কোন মানুষ নেই।’

‘একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পূনঃগঠন করে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যে বছর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেবছর ২৬ হাজার মেট্টিকটন খাদ্য শস্য অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছিল। খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’

উক্ত সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন।