সাভারে ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগরাকান্দা এলাকায় অবৈধ ফিশ অয়েল কারখানার তীব্র দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ জীবন।

Loading

বিপ্লব,সাভার ঃ সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগরাকান্দা এলাকায় ভার্সেটাইল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নামে একটি কারখানা দীর্ঘ প্রায় দুই বছর যাবৎ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট হিসেবে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ।কারখানাটি মাছের উচ্ছিস্টাংশ যেমন : আইশ,কাঁটা, লেজ, মাথা ও পাখনার বিভিন্ন অংশ কাঁচা বর্জ্য হিসেবে ঢাকা সহ তৎসংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ থেকে নিজস্ব গাড়ীর মাধ্যমে সংগ্রহ করে। সংগৃহীত এসব বর্জ্য এনে এই কারখানায় সম্পূর্ণ খোলা পরিবেশে শুকানো হয়। এরপর মাছের এই শুকনো বর্জ্য কয়েকটি পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় সিদ্ধ করে তেল উৎপাদন করা হয়।কারখানার মালিক আবুহেনার সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায় , তাহার এই প্ল্যানের কোন কাগজ পত্রের দরকার নেই । তিনি প্রশাসনে মেনেজ করেই এই প্ল্যান চালাচ্ছেন । আর এই তেল মাছ ও মুরগীর খাবার হিসেবে বাজারজাত করণ কারা হয় ।বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট হিসেবে কারখানাটি তাদের কার্যক্রম চালালেও তাদের নিকট পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। প্রায় দুই বছর পূর্বে ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নিকট থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করলেও সেটি পুনরায় আর নবায়ন করেনি।

এমনকি তেলের উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বিএসটিআই এর কোন অনুমোদন নেই।

এবিষয়ে ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমি কোন অবৈধ কারখানার অনুমোদন দেইনি ,আমি বেশ কয়েকবার এগুলো উচ্ছেদ করেছি , কিন্তু আমি নিজেও জানিনা তাহাদের কত লম্বা , যে ২/১ দিন পরেই দেখাযায় তাহারা তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে দেন ,আমি খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো ও ব্যবস্থা নিবো ।

কারখানাটিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম চললেও মালিক কিংবা ম্যানেজার কেউই সেখানে থাকে না।তারা আড়ালে থেকে ১০-১২ জন শ্রমিকের দ্বারা এসকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কারখানাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে খোলা পরিবেশে এসব কার্যক্রম করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।বর্জ্যের বিকট ও তীব্র দূর্গন্ধে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনের জীবন অতিস্ট হয়ে উঠেছে।এমনকি উৎপাদিত তেল বাজারে নকল কড লিভার অয়েল হিসেবে বাজারজাত হচ্ছে বলে ও ধারনা করা যাচ্ছে ।

ফিআবের সভাপতি মসিউর রহমান সময়ের খবর ২৪কে বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বিএসটিআইর মান সনদ বাধ্যতামূলক করায় পোলট্রি ও মাছের খাদ্য শতভাগ নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে উৎপাদন হবে। অবৈধ ও অনিবন্ধিত খাদ্যের মিলগুলো এবং ছোট খাদ্য উৎপাদনকারীদের (টোল ম্যানুফ্যাকচারার) কার্যক্রম বন্ধ হবে।

এতে নিম্নমানের খাদ্যের উৎপাদন ও বিপণন কঠোরভাবে দমন করা যাবে। পাশাপাশি যারা ভালো ফিড তৈরি করছেন তাদের পণ্যের মান আরও বাড়াতে উদ্যোগী হবেন। এটি দেশের পোলট্রি পণ্যের মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।