সাভার হেমায়েতপুরে নিখোঁজের একদিন পর নাজুফা নামের আট বছরের এক শিশুর বস্তাবন্ধি লাশ উদ্ধার (ভিডিও)

Loading

বিপ্লব, সাভার ঃ নিখোঁজের একদিন পরে সাভারে নাজুফা খাতুন নামের আট বছরের এক শিশুর বস্তাবন্ধি হাত পা বাধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় শিশুটির হত্যাকারী সন্দেহ এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।শুক্রবার রাতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ী মোল্লাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হাজীর পাঁচতলা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায় গতকাল ওই শিশু নিখোঁজ হলে সন্ধান চেয়ে চারপাশে মাইকিং করে শিশুর স্বজনরা । ওই শিশুটি তার মা ফাতেলা বেগমের সাথে মোল্লাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হাজীর পাঁচতলা বাড়ির পাঁচতলায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। পরে শিশুটি গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হলো তার মা সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি করেন।

পরে পুলিশ আজ রাতে ওই পাঁচতলা বাড়ির নিহত শিশুটির প্রতিবেশী মোকছেদুল ইসলামের রুমে তল্লাশী চালিয়ে খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্ধি হাত পা বাধা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আটকরা হলেন সোনালী ও তার স্বামী মোকসেদুল ইসলাম। সোনালীর বাবার বাড়ি জামালপুর জেলার ,আটক সোনালীকে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, শিশুটি কাল থেকে নিখোঁজ ছিল তার সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। এক ভাড়াটিয়া সবার ঘর তল্লাশি করার কথা বললে আমি আমার ঘর তল্লাশি করে দেখি আমার খাটের নিচে একটি বস্তা। এই বস্তা থেকে নাফিজার লাশ উদ্ধার করা হয়। বস্তা টি কিভাবে তার ঘরে আসলো তার কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

নিহত নাফিজা হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার গোল্ডেন বাংলা স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম হাবিবুল্লাহ নিপু ।শিশু নাফিজার বাবা হাবিবুল্লাহ নিপু তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি হাসপাতালে ভর্তি। শিশু মেয়েটির মা ম্যাক্স নামে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরী করে।

এঘটনায় পুলিশ শিশুটির হত্যাকারী সোনালী ও তার স্বামী মোকছেদুল ইসলামকে আটক করেছে। শিশুটি ওই এলাকার গোল্ডেন বাংলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক ২ জানান নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সাভার মডেল থানায় শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।