কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক উদ্ধার করে বিক্রির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

Loading

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আসামিসহ মাদক উদ্ধার করে বিক্রির অভিযোগে এক এসআইসহ ২ পুলিশ সদস্যকে লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ এক নির্দেশে তাদেরকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে পুলিশ সদস্যকে লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেদিন ডিউটিতে থাকা আরও তিন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তারা হলেন, ভৈরব থানার এসআই দেলুয়ার হোসেন, গাড়িচালক কনস্টেবল মো. মামুন। এছাড়াওেএ ঘটনায় আরও তিন পুলিশকে তলব করেছেন পুলিশসুপার।

ক্লোজড করা দুই পুলিশ বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে জানা যায়, তারা গত বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব সড়ক সেতুর ন্যাটাল টোলপ্লাজা এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৭ কেজি গাঁজাসহ আটক করেন। এসময় ওইসব গাঁজা রেখে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ সদস্যরা।

পরে ওই ব্যবসায়ী অন্য একটি বাসে করে ওই স্থান ত্যাগ করে। এরপর এস আই দেলোয়ার ও গাড়িচালক মামুন তারা দুজন উদ্ধারকৃত গাঁজা গোপনে রায়পুরা এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে দেন। মাদক বিক্রির টাকা তারা ভাগাভাগি করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সুপার ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পুলিশকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেন। আর তিন কনস্টেবলকে তলব করেন তার কার্যালয়ে। তলব করা তিন কনস্টেবল হলেন- আমিনুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন ও রাজীবুল ইসলাম।

এদিকে, পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নির্দেশ আসার পর দুই পুলিশ সদস্য বিকেলে ভৈরব থানা থেকে ছাড়পত্র নিয়ে পুলিশ লাইনে যোগদান করেছে বলে জানা গেছে।