মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এক বছরের বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজশাহী আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ারের তিনটি কেন্দ্রে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গেটে তালা দেয়া। এ বিষয়ে জানতে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন-সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমাদের এক বছর যাবত বেতন বন্ধ এবং ২০১৮ সালের দুইটি ঈদ বোনাসও দেওয়া হয়নি নিরুপাই হয়ে আমরা কর্মবিরতির পথ বেছে নিয়েছি।
বন্ধ সেন্টারগুলো হলো পঞ্চবটি, কাজলা, ডাশমারি এবং কালকের ভেতর আরও দুইটি সেন্টার মেহেরচন্ডি, বুথপাড়া বেতন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে থাকবে। তিনি জানান এখানে পাঁচটি সেন্টারে মোট আমরা ৪৫জন কর্মরত আছি। তিনি আরও বলেন আমার মানবেতর জীবনযাপন করছি তিন বছরের আমার একটি ছেলে আছে তার জন্য দুধ কিনবো সেই টাকা আমার কাছে নেই। কর্মরত বেলাল হোসেন জানান প্রতিবেশির কাছে ধার করে সংসার চালাচ্ছি।
কেউ এখন আর ধার দিতে চাইনা। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এভাবে আর কিছুদিন গেলে মাথাগোজার ঠাই শেষ সম্বলটুকু আমার বাড়ি সেটা বিক্রি করতে হবে। কর্মরত পলাশি দত্ত বলেন আমার বিয়ের সময় মায়ের বাসা থেকে কিছু গয়না পেয়েছিলাম সেগুলো বিক্রি করেছি। বিক্রি করার মতো আর কিছু নাই। আমার ছেলেমেয়ের পড়াশুনা বন্ধের পথে স্কুলে বেতন দিতে পারছিনা। অনেক ধারও হয়েগেছে কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ারে সেবা নিতে আসা অনেকে সেবাবঞ্চিত হয়ে ঘুরে যাচ্ছে। পঞ্চবটি এলাকার চেনবানু বলেন সকাল থেকে আমার পেট ব্যাথা এখানে একটু চিকিৎসা নিতে এসে দেখি তালা মারা এখন কোথায় যাবো। সদ্য প্রসুতি আমেনা বেগম জানান ডাক্তার আমাকে প্রায়ই চেকআপ করতে বলেছে কিন্তু এসে দেখি বন্ধ কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। এ বিষয়ে জানতে পাঁচটি সেন্টরের দ্বায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আপেল মাহমুদ বলেন আমরা চেষ্টায় আছি এটা যত দ্রæত সম্ভব হেডকোয়াটারে কথা বলে সমাধানের।