ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৪৫ বোতল বিদেশি মদসহ ১ জন আটক
হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও:ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ বোতল বিদেশি মদসহ আকরাম হোসেন (২৭) নামে ১ জনকে আটক করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।

আকরাম উপজেলার রনশিয়া চন্দ্রা এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের রনশিয়া চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ।
পীরগঞ্জ থানার (এসআই) মকুল কুমার সেন জানান, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি চৌকস দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার রনশিয়া চন্দ্রা এলাকা থেকে আকরাম হোসেনকে ৪৫ বোতল বিদেশি নিষিদ্ধ মদসহ আটক করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংশোধনীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, ২০১৮ সালে আইনের ধারায় মামলা করা হয়েছে। পরদিন বুধবার দুপুরে ২২ (মার্চ) ঠাকুরগাঁও জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।
রানীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১৩৯টি ল্যাপটপ বিতরণ
হুমায়ুন কবির, রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযে সরকারিভাবে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে শিক্ষা অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলা হলরুমে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনজুরুল আলম,জাহিদ হোসেন ও সীমান্ত বসাক৷ এছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী,সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক কুশমত আলী, আনিসুর রহমান, সাদেকুল ইসলাম, মেরিনা আকতার, কামরুজ্জামান,আব্দুল মান্নান,আব্দুল হাকিম ও রুস্তম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত:উপজেলার রাতোর, ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ি,অমর,চেংমারি, ঝাড়বাড়ি,পশ্চিম ঘনশ্যামপুর ও নরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ১৩৯টি ল্যাপটপ দেয়া হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষা অফিসার ঘনশ্যাম রায়।
তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়ম, কৃষি কর্মকর্তার বদলির দাবি
সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে। সেই সাথে কৃষি কর্মকর্তার শাস্তি ও জরুরী ভাবে দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছেন প্রকৃত কৃষকরা।
গত ২০মার্চ সোমবার উপজেলার প্রায় ৪হাজার কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত এমপির কাছে একাধিক প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা বিতরণের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা তার মাঠ পর্যায়ের বিএস কর্মকর্তাদের দিয়ে নামমাত্র কৃষি প্রণোদনার তালিকা তৈরি করে প্রকৃত কৃষকদের সহায়তা প্রদান না করে নিজের ইচ্ছে মতো অকৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি কৃষক না হয়েও যাদের কৃষক বানিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তারা সকলে সেই কৃষি প্রণোদনার সার বীজ খুচরা সার ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অথচ প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন না। যা শুধু একমাত্র কৃষি কর্মকর্তার সেচ্ছাচারীতায় এসব অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে।
জানা যায়, একজন কৃষক এক কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ২০ কেজি এমওপি সার, ১০০ টাকার বালাইনাশক এবং জমি প্রস্তুতি, সেচ ও বাঁশের বেড়া তৈরিতে বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার ৮০০ টাকা পাবেন। সেই সঙ্গে ২ হাজার ১০০ টাকার পলিথিন ও ১৫০ টাকার নাইলনের সুতা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানেও কৃষক প্রতি বরাদ্দের ২ হাজার ১০০ টাকার পলিথিনের বদলে দিয়েছেন বড়জোর ৫০০ টাকার পলিথিন। ১৫০ টাকার নাইলনের সুতার বদলে দিয়েছেন ৬০ টাকার প্যারাসুট সুতা। আর এসব কৃষি প্রণোদনা গুলো যেসব কৃষকদের দেয়া হয়েছে তারা কেউ প্রণোদনা গুলো ব্যবহার না করে প্রায় কৃষক বিক্রি করে দিয়েছেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে এসব অনিয়ম দুর্নীতি।
তানোর পৌরসভার বেশকিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তানোর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী বিএস এমদাদুল হকের মাধ্যমে কৃষি কর্মকর্তা যোগসাজশ করে এসব কৃষি প্রণোদনার সার বীজ গুলো নামমাত্র ভুয়া কৃষকের তালিকা তৈরি করে আত্মসাৎ করে আসছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে করা কৃষকের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকের কিসে ভালো আর কিসে খারাপ আমি জানি,এমপি সাহেব না বুঝে কৃষকের কথায় আমাকে গালাগালি করেছে। তিনিতো আর মাঠ পর্যায়ে থাকেন না সে কি বুঝবে। আমরা সারাদিন মাঠেঘাটে থাকি কে কৃষক আর কে অকৃষক আমার চাইতে এমপি সাহেব বেসি চিনেন না।
তাই আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আমাকে ক্ষমতার দাম্ভিকতা দিয়ে গালাগালি করেছেন। আমি বিষয়টি আমার উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি,দেখা যাক তারা এমপি সাহেবের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহন করছে।
পশ্চিম রেলের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকে মামলার হুমকি
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের চরিত্রহনন করে প্রতিবাদের নামে ইমেইলের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করেছেন পশ্চিম রেলওয়ের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের প্রধান (সিওএস) এস এম রাসেদ ইবনে আকবর।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ২ ঘটিকায় [email protected] মেইলে সিওএস রাসেদ ইবনে আকবর স্বাক্ষরিত প্রতিবাদে সেই হুমকি প্রদান করা হয়।
জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবৎ পশ্চিম রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের কেনাকাটায় অনিয়ম দুর্নীতি ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন দপ্তরের এও বেলাল ও একজন ঠিকাদার। সাংবাদিক টাকা না নিয়ে সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত রাখলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নানা ভাবে নানাজনকে দিয়ে হুমকি প্রদান করেন। অত:পর সকল হুমকি উপেক্ষা করে ধারাবাহিকভাবে প্রায় ৪০টির উপরে প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত দপ্তরের অসাধু ঠিকাদার সিন্ডিকেট ও সিওএস তাদের অনিয়ম দুর্নীতি রুখতে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমের ই-মেইল যোগে উক্ত হুমকিসহ প্রতিবাদ লিপি পাঠান।
প্রতিবাদলিপিতে জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে হলুদ সাংবাদিক ও উক্ত সংবাদগুলোর মুলহোতাসহ তার চরিত্রহনন বিষয় নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও বানোয়াট কথা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ঐ প্রতিবাদলিপি প্রত্যাহার করে প্রকাশে ক্ষমা না চাইলে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবসহ রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা বৃহত্তর আনন্দোলনে যাবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের অংশ বিশেষঃ কোনভাবেই থামছে না পশ্চিমাঞ্চল রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের অনিয়ম দুর্নীতি। নিজেকে দায়মুক্ত করতে হিন্দু অফিসারদের ভারতের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা “রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এজেন্ট” এর লোক বলে আখ্যায়িত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে’র সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ বেলাল উদ্দিন। তবে ঐ ব্যক্তির সাথে রেলওয়ে দপ্তরের বিভিন্ন গোপন বিষয় ও সংবাদ প্রকাশের বিষয় কথা বলতে দেখে যাচ্ছে।
এর আগে সাবেক সিওএস বেলাল সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর তাকে বদলি করা হলেও বর্তমান সিওএস রাসেদুল ইবনে আকবরও দূর্নীতি’র বাহিরে থাকতে পারছে না। গত ছয় মাস হলো ঐ পদে অধিষ্ঠিত হন এসএম রাসেদুল ইবনে আকবর। যোগদানের ৬ মাসে ইতোমধ্যে গড়েছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করছেন কেনাকাটা। দপ্তরটিতে প্রতিটি কাজে ঠিকাদারকে গুণতে হয় মোটা অংকের উৎকোচ। এলটিএম এর মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানো হয়। দপ্তরটির বিরুদ্ধে কাজ না করে ভুয়া বিল উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে। কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহায়ক সানোয়ার হোসেন ইতোমধ্যে একটি ভুয়া বিল উত্তোলন করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বজনপ্রীতি’র মাধ্যমে মনমত ঠিকাদারকে কাজ প্রদানসহ ৬ মাসে প্রতিটি কাজে নিয়েছেন মোটা অংকের কমিশন।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা বলেন, যোগদানের পর থেকে বাজেট নাই মর্মে সল্পতা গল্পে কমিশনে তার পছন্দের ঠিকাদারকে এলটিএম এর মাধ্যমে কাজ দিচ্ছেন। নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করে মোটা অংকের কমিশন নেওয়া হচ্ছে।
কেনাকাটার অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে দূদক আবারও তদন্ত শুরু করেছেন। কেনাকাটার বিষয়ে দুদক রাজশাহী রেল মেডিকেলে ঝটিকা অভিযান পরিচালনাও করেছেন। তবুও কোনোভাবে যেন থামছে না সিওএস এর কেনাকাটার অনিয়ম দুর্নীতি।
বাজেট নাই মর্মে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েও গোপনে এখনো কাজ করছেন বর্তমান ( সিওএস) রাসেদুল ইবনে আকবর।
দপ্তরটির ব্যপক অনিয়ম ও দূর্নীতি ঠেকাতে প্রতিমাসে সাংবাদিকদের জন্য মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। সেই বরাদ্দ তালিকা করে স্বাক্ষর নিয়ে কতিপয় অসাধু সাংবাদিকের মাঝে বন্টন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন। দপ্তরের এও বেলাল অফিসের গোপন নথিপত্র বিভিন্ন জনকে দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। রেল মেডিকেলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ইতিমধ্যে বিভিন্ন জনকে টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন বেলাল। যার তথ্য প্রমান সংরক্ষিত। অফিসারদের বেকায়দায় ফেলতে ও নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে এও বেলাল এমনটা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলওয়ে মেডিকেলের কেনাকাটার কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে সেই কাগজও বিক্রি করেন মোটা অংকের টাকায়। এমন তথ্যও সংরক্ষিত রয়েছে। সাংবাদিকের সাথে (ম্যাসেঞ্জারে) কথার প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন রেলওয়ে দপ্তরে কর্মরত হিন্দু অফিসাররা ভারতের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা “রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এজেন্ট” এর লোক।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনা কাটায় প্রায় ৭ কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা ফলাও ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারী উক্ত অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পশ্চিম রেলওয়ে মেডিকেল ও জিএম দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
হুমকি ও সাংবাদিকের ব্যক্তিগত চরিত্রহনন পূর্বক একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রতিবাদ দিতে পারে কি না জানতে পশ্চিম রেলের জিএম অসীম কুমার তালুকদারকে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। হোয়াইট আপস এ জানতে চাইলে তিনি লিখেন পত্রিকায় অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এর সংগে যেমন আমি একমত নই, তেমনি প্রতিবাদে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমার বিন্দু বিষর্গ ও ধারনা নাই। সুতরাং এ বিষয়ে আমার পক্ষে সরাসরি মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে দুই পক্ষই ক্ষুব্ধ এবং কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছেন বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
আমি কোনো অপরাধ করিনি : মাহির স্বামী
অবশেষে হজ পালন শেষে ঢাকায় ফিরেছেন ঢাকায় সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার। রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে সৌদি আরব থেকে ওমরাহ শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। এরপর রকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন মাহি। সেই ছবি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।
ছবির ক্যাপশনে মাহি লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ। অসংখ্য লাভ সাইনও দিয়েছেন তিনি। এদিকে দেশে ফিরে রকিব গণমাধ্যমে জানান, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই, মিথ্যা মামলাগুলো আইনিভাবেই মোকাবিলা করব। সত্যের জয় হবে। আমি কোনো অপরাধ করিনি।’ এর আগে শনিবার (১৮ মার্চ) মাহি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেও তার স্বামী আসেননি। রাকিব একদিন পর দেশে ফিরলেন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ মামলা করে মাহিয়া মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একই আদালতে বিকেলে তিনি জামিন পান।
সাভারে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি– এই স্লোগান সামনে রেখে সাভারে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়তে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ভরারী বটতলায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ ) বিকেলে ৪ টায় উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ড় এলাকায় পুলিশিংয়ের সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় চামড়া শিল্প নগরীর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি বলেন,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে হলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। এ সকল কাজে পুলিশ কে সহায়তা করতে সকল কে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় সাধারণ জনগণ তাদের এলাকার চলমান সমস্যা গুলো তুলে ধরেন ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন বেপারী,উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইয়ূব মেম্বার, শাহ আলম সহ তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের এলাকাবাসী , রাজনৈতিক কর্মী সহ স্থানীয় সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাভার থানার কর্মরত অসংখ্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাভারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ (ভিডিও)
স্টাফ রিপোর্টার: শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে ১৫ টাকা কেজি চাল বিতরণ করা হয় ।
রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টায় সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের জয়নাবাড়ী ঈদগাঁ – স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এই সুবিধাভোগী কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিক্রিয় করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমর, ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।