আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ থেকে। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ভয়ভীতি, সংশয় এবং উদ্বেগ কাটিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণের লক্ষে প্রস্তুতিমূলক এ ভোটগ্রহণের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বলো ১১টা থেকে আসনের ১৪৪টি কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর সদ্যসরা ভোটারদের ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয়ে নির্দেশনার মাধ্যমে সহায়তা করেন।
৯টি কেন্দ্রে সরকারি স্কুলের পরীক্ষা থাকায় ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। তবে পরীক্ষার পরে যথারীতি ভোট চলে।
এদিকে প্রথমবারের মতো ইভিএম ভোট দেয়া নিয়ে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বিশেষ করে তরুণ ও নবীন ভোটাররা প্রযুক্তির সহায়তায় ভোট দেয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অধিকাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার এ ব্যবস্থা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এবারই নির্বাচনে প্রথম ভোট দেবেন বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা ও নগরীর এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী নাজনিন সুলতানা। তিনি বলেন, এবারই নতুন ভোটার আমি। কাগজের ভোট সম্পর্কে শুনেছি। কিন্তু আমি ভোট দেব ইভিএমে। ইভিএম নিয়ে অনেক শঙ্কার কথা শুনেছি। কিন্তু পরীক্ষামূলক ভোট দিতে গিয়ে দেখলাম এটা অনেক সহজ। এখন উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছি ৩০ ডিসেম্বরের জন্য।
বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাসার বলেন, ‘আপনি ব্যালটে সিল মারার পর নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেন ভোটটি আপনার পছন্দের প্রার্থীই পাচ্ছেন। কিন্তু ইভিএমে ভোট দিয়ে আমার প্রার্থীই ভোটটি পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত হতে পারছি না।’
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ (মক ভোটিং) অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি ইভিএমের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ করা হয়। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটারের তথ্য যাচাইয়ে আঙুলের ছাপ, স্মার্ট কার্ড, পুরনো এনআইডি কার্ড অথবা পুরনো ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করা হবে।
তবে তিনি জানান, ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের জন্য যেসব ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেগুলো এখনও চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়নি।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনির হোসাইন খান জাগো নিউজকে বলেন,প্রতি বুথে একটি ইভিএম রাখা হবে। একটি ইভিএমে সর্বোচ্চ ৪৫০ জন ভোটার রাখার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯০ হাজার ৪৩১ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৪টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭২৫টি। এ আসনে ৭২৫টি ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। পাঁচ শতাংশ অতিরিক্তসহ মোট প্রিজাইডিং অফিসার ১৫১ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৯৬৬ জন এবং পোলিং অফিসার এক হাজার ৯৩২ জন এ আসনে ভোটগ্রহণে কাজ করবেন।