রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন জানান, মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনায় ঈদের দিন রাতের মধ্যেই নগরীতে কুরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য এ বছর মোট ২১০টি পয়েন্ট করে দেয়া হলেও, মুসল্লিরা যত্রতত্র কোরবানি করেছেন। সেই বর্জ্য অপসারণে সকাল ১০টা থেকে কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ।
রাত ৩টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়। পশু কুরবানির স্থানসমূহ পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। মেয়রের মহোদয়ের কথা অনুযায়ী এবারো ঈদের পরদিনই নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেয়া সম্ভব হয়েছে।
এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে রাজশাহী দেশসেরা। প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্কের সাথে ঈদুল আযহার দিনটিতে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয় পরিচ্ছন্ন বিভাগকে। ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপনে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, কোরবানি পশু জবেহকরণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কোরবানির স্থানসমূহে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদুল আযহায় কুরবানির পশুর রক্ত, মল মুত্র ও সকল বর্জ্য রাতের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।
মেয়র আরো বলেন, কুরবানি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে দেখা হচ্ছে। ঈদের পরের দিন নগরীর কোথাও যেন কোন প্রকার পশুর রক্ত মল মুত্র না থাকে এ বিষয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষনিক মনিটরিং এ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঈদের পরের দিনই নগরবাসী পাবেন পশুর রক্ত, মল, মুত্র দূর্গন্ধ মুক্ত পরিচ্ছন্ন রাজশাহী।
এ সময় রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি, প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, কমিটির সদস্য ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মনিটরিং সাজ্জাদ হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।