রাজশাহী নগরীতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক বিশালকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে তুষার নামের এক সন্ত্রাসী। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধিন মোল্লা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক বিশাল জানায়, তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে কোর্ট এলাকায় যান। এ সময় মুঠোফোনে তার পরিচিত একজন সাংবাদিক বলেন, মোল্লা পাড়া এলাকায় মোজাহারুল ইসলাম নামের এক মুক্তিযোদ্ধা জমি দখল করে ইমারত নির্মান করছে স্থানীয় মিলন নামের এক ব্যক্তি। সেই জমি উদ্ধারে মুক্তি যোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা ইসলাম, মেয়ে পলি, উরুশিসহ ১৫/২০ জন মহিলা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবৈধ মিলনের গড়া ইমারত ও টিনের তৈরী ঘর ভাংচুর করছে।
এমন সংবাদ পেয়ে বিশাল সেখানে গিয়ে চিত্র ধারন করে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। হটাৎ মিলন ও তার ভাই ভাতিজা সহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধার লোকজনকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে এবং বাঁশ হাতে ধাওয়া দেয়। এরই এক পর্যায়ে বিশালকে বাঁশ নিয়ে মিলন ও তার ভাতিজা তুষার মারার জন্য তেড়ে আসে।
বিশাল ও তার সহকর্মীরা বার বার সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা বিশালকে বাঁশ দিয়ে বাম পায়ে কয়েকটি আঘাত করে। এ সময় বিষয়টি আরএমপির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সদর(মোঃ ইফতেখায়ের আলমকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একই সময় (ডিসি পশ্চিশ) মোঃ আমির জাফর কে বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন আমি ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনার পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে কাশিয়াডাঙ্গা থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে দু’পক্ষের লোকজনকে আটক করেন এবং বিশালের আঘাতকারী সন্ত্রাসী তুষারকে আটক করতে গেলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। অবশ্য পুলিশ তাকে ব্যপক ধাওয়া দিলেও ধরতে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক বিশাল কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বাশেঁর আঘাতে বর্তমানে বিশালের হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানায় বিশাল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিয়াডা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বলেন, সাংবাদিককে বিশালকে আঘাতকারী অভিযুক্ত তুষারকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আর জমি নিয়ে বিরোধকারী দু’পক্ষকেই মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হবে