শার্শার ডিহি ইউনিয়নের ট্যাংরাখালী গ্রামে সরকারী জমি ভোগ দখলের অভিযোগে আব্দুল ওয়াদুদ (৬০) এর বাড়ির একটি ঘর বাথরুম উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধাবার শার্শা এ্যাসিল্যান্ড মৌসুমি জেরিন এর উপস্থিতীতে সকাল ১০ টার সময় এ উচ্ছেদ অভিযান শরু হয়।
আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তির সাথে কিছু সরকারী খাস জমি ছিল তা আমি আগে বুঝতে পারি নাই। কারন এ জমি আমার পূর্বপুরুষরা ভোগ দখল করে আসছে। সম্প্রতি গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে ডিহি ইউনিয়ন চেয়রম্যান আমার বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা চায় । আমি এটা মেনে না নিয়ে আমার বাড়ির পিছন দিয়ে রাস্তা নেওয়ার কথা বলি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার অজ্ঞতার কারনে সে কোর্ট কাচারী করে আমার বাড়ি ভেঙ্গে দেয়। আমার বাড়ির কিছু অংশ সরকারি সম্পত্তি আমি জানতে পেরে শার্শা সহকারী জজ আদালতের দেওযানী ৪/১৮ নং মামলায় বাদী হয়ে সরকারের কাছে আবেদন করি।
শার্শার ২ নং টেংরালী মৌজার এস এ খতিয়ান ৪ এস এ দাগ ৯২৫, ৭৭৬আর এস খতিয়ান১/১ আর এস দাগ ১০৭৬, ১৭১০ পরিমান মোট ৩০ শতক জমি আমার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া। উল্লেখিত জমি ১০০ বছরেরও বেশী সময় আমরা ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। এর ভিতর যেটুকু খাস জমি আছে তা বন্দোবস্ত করে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমি যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। সে আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগে আমার বসত ভিটা ভেঙ্গে দিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান হোসেন আলী।
এ ব্যাপারে হোসেন আলী বলেন আমি কেন ভাঙতে যাব। এটা সরকারী জমি সরকার এসে নিয়ম অনুযায়ী ভেঙ্গে দিয়ে গেছে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে সহযোগিতা করেছি মাত্র। শার্শা উপজেলা এ্যাসিল্যান্ড মৌসুমি জেরিন বলেন আমার কাছে জেলা প্রশাসক এর কর্যালয় থেকে অবৈধ দখলদার আব্দুল ওয়াদুদের সরকারি খাস জমি থেকে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ এর চিঠি এসেছে ; সে অনুযায়ী আমি সরকারের আদেশ মেনে উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিহি ভুমি অফিসের তহশিলদার কামাল হোসেন, ডিহি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হোসেন আলী, শার্শা থানার এস আই খায়রুল, সহ প্রশাসন ও স্থানীয় গন্য মান্য ব্যাক্তি বর্গ। উচ্ছেদ অভিযানের সময় ওয়াদুদের স্ত্রী ছেলে মেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় শত শত উৎসুক জনতা সেখানে উপস্থিত থেকে এক্সেলিটার দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে ঘর ভাঙ্গার দৃশ্য উপভোগ করছিল।