গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দ্দা নামাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী-কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকরি দেয়ার নামে মোটা অংঙ্কের টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করা ছাড়াও প্রার্থীর স্ত্রীকে নিয়ে নানান ঘটনার উৎপত্তি ঘটেছে।
বিভিন্ন তথ্য নির্ভর সুত্রে জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মজনু বিদ্যালয়ে দপ্তরী-কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকরি দেয়ার নামে ৫ লাখ টাকা চুক্তি করে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে চাকরি প্রত্যাশী তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র আব্দুল মজিদের বাড়িতে অবাধে যাতায়াতের সুযোগে আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সাঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চলতে থাকে প্রধান শিক্ষকের।
গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে বাড়িতে না থাকায় আব্দুল মজিদের স্ত্রীর শয়ন ঘরে আটক হন প্রধান শিক্ষক। পরদিন স্থানীয় ভাবে শালিস বসলে মজনুর দল সশত্র হামলা চালিয়ে আটক মজনুকে নিয়ে যায়। এরপর কৌশলে নগত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ছোট ছেলে ফয়ছালকে নিয়ে বাবার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতের চর গ্রামে চলে যান আব্দুল মজিদের স্ত্রী। ৮ম শ্রেণীতে পড়ু–য়া বড় ছেলে ফিরোজ কবির সিয়ামকে তার পিতা আব্দুল মজিদের কাছে রেখে গেলেও বিয়ের ১৮ বছর পর নতুন করে ৫ লাখ টাকা মোহরানা ধার্যে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রি করার জন্য মজনুর কথা মতো ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, ভগ্নিপতি আশেক আলীসহ অন্যান্য কয়েকজনের সহযোগিতায় আব্দুল মজিদকে অপহরণ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন কাগজে সহি স্বাক্ষর গ্রহন করে তার স্ত্রী।
এসব ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলাসহ সুন্দরগঞ্জ ও পীরগাছা থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন আব্দুল মজিদ। দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণের আওতাধীন উক্ত বিদ্যালয়ে দপ্তরী-কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগের কোন নির্দেশনা নেই। এছাড়া, বিদ্যালয় এলাকার বাইরের বসবাসকারী হলেও যদি কখনও কোন ভাবে আব্দুল মজিদকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মজনু বলেন, পারিবারিকভাবে তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ৯ বছর থেকে আর আঃ মজিদের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ২ বছর থেকে। তাছাড়া, তার স্ত্রীও একই বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি করেন। আঃ মজিদের শ্বশুড় ফয়জার রহমান পাটোয়ারী, শ্যালক জহুরুল ইসলাম পাটোয়ারী ও স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে তারা বলেন আঃ মজিদ তার স্ত্রীর সঙ্গে ৫ লাখ টাকা মহোরানা ধার্যে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রি হয়েছে।
তাম্বুলপুর ইউনিয়ন কাজী তাৎক্ষণিকভাবে এ রেজিষ্ট্রির কথা বলতে পারেন নি। সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই সেলিম রেজা, পীরগাছা থানার এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, আঃ মজিদের দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্ত চলছে। পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র আঃ মজিদের দায়েরকৃত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।