কালিয়াকৈরে মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভাউমান টালাবহ মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি , দুর্নীতি , ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল তৈরি , সরকারি বিভিন্ন দিবসে চাঁদা আদায় , বাধ্যতামূলক কোচিং করানো ,প্রাইভেট না পড়লে নাম্বার কম দেওয়া,শিক্ষার্থীদের মারপিট করা , অনিয়মের প্রতিবাদী ছাত্রদের মিথ্যা ইভটিজিং এর মামলায় ভয় দেখানো সহ ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযোগে জানাযায় , উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের ভাউমান টালাবহ মডেল হাইস্কুলের লেখাপড়ার মান একসময়ে ভাল হলেও বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হারিজ আলীর স্বেচ্ছাচারিতা , নানা অনিয়ম ,শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং করে এক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করার কারণে বিগত কয়েক বছর যাবত স্কুলের জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল খুবই খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো.জুবায়ের , জাহিদ হাসান ও মানিক বলেন ,কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে প্রধান শিক্ষক মো. হারিজ আলীর বিরুদ্ধে ইংরেজী পাঠদানে সমস্যা , জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীতে চাঁদা আদায় , সেসন ফি ও করোনা কালিন সময়ে এসাইনমেন্টের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় , শ্রেণি কক্ষে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না দিয়ে পাঠদান করানো , এস.এস,সির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে তা রশিদ না দেয়া , কোন সমস্যার কথা বলা হলে উল্টো
শিক্ষার্থীদের বেদম মারপিট করা , ও ইভটিজিং এর মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো সহ বিভিন্ন
দুর্নীতির ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
এ ছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হারিজ আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যগণ , অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত দেড় মাসে পৃথক পৃথক ভাবে তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মো.আলমগীর হোসেন, দাতা সদস্য মো.লাবিব উদ্দিন ও দাতা সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন মেম্বার স্কুলের দুর্নীতিবাজ ও উশৃঙ্খল শিক্ষকদের দ্রæত অপসারণ করে লেখা-পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি ।
অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ হারিজ আলী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কয়েকজন ছাত্রের উশ্খৃংল আচরণ ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।