প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে বারিধারায় ভুটান দূতাবাস যাবেন তিনি। বিকেলে বুদ্ধিস্ট মনাস্তেরি কমপ্লেক্স বাসাবো সবুজবাগ এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এফবিসিসিআইয়ের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
বিমানবন্দরে লোটে শেরিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। বিমানবন্দরে অবতরণ করলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল। এ সময় বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত। পরে মোটর শোভাযাত্রা করে ড. লোটে শেরিং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাইগার গেটে শেরিংকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ভুটানের বাণিজ্য সুবিধা ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে কয়টি চুক্তি হতে পারে।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চামেলী হলে আনুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবি হলে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ও যৌথ বিবৃতি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তার সম্মানে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
বাংলাদেশ সফরকালে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং। ১৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সুরের ধারার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান।