ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই(ঢাকা)থেকেঃ-ঢাকার ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন চারজন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধামরাই থানায় দুই পক্ষ পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানাগেছে। ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর ফকির পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।আহতরা হলেন. মোঃ ইমরান হোসেন পিতা মোঃ লোকমান হোসেন. হায়দার আলী পিতা লোকমান হোসেন. মোঃ মামুন হোসেন. বোন সোনিয়া বেগম. পিতা মোঃ নিলা মিয়া।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়. গত ১৮ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার দিনগত রাত ৮ ঘটিকার সময় হযরত এন্ড রবিউল হ্যান্ডিক্যাপ একটি কুটির শিল্প কারখানার শ্রমিক মামুন ও হায়দার দুইজনে কাজ করার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দুইজনের মধ্যে ব্যাকবিতন্ড হয়। এই ঘটনায় দুইজনকে মিমাংসা করার লক্ষে এক জায়গায় বসে। সেখানে মামুন ও তার পিতা নিলামিয়া চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে মামুন পিছনে থেকে গিয়ে হায়দারের মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তখন হায়দারের ভাই ইমরান এগিয়ে গিয়ে মামুনকে ধরে। সেখানে দুই পক্ষের মারামারিতে চার জন অহত হয়। পরে গ্রামের লোকজন এসে ৯৯৯ নাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। গ্রামের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সাভার সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদের মধ্যে ইমরানের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। পরে ইমরানের স্বজনরা তাকে সভার একটি প্রাইভেট হাসপালে ভর্তি করেন।এদিকে সোনিয়া ও মামুনকে সাভার সরকারি হাসপাতা ও এনাম মেডিকেলে ভর্তি করেন বলে জানাগেছে।প্রত্যক্ষদর্শী কারখানার শ্রমিক ও মালিক জানান, সোমবার বিকেলে কারখানায় কাজ করার সময় মামুনের মেশিন হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়। তখন শ্রমিক হায়দার বলেন তোমার কাছে যে মেশিন যায় সেই মেশিন তুমি নষ্ট করে ফেলো এ কথা বলার শেষ না হতে মামুন এক পর্যায়ে মালিকের ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে মামুন। এসময় হায়দার প্রতিবাদ করতে গেলে ঘুষি মারে মামুন পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় মামুনর বোন সোনিয়া এগিয়ে এসে ভাই মামুনের সাথে মিলে হায়দারকে মারতে থাকে।

খবর পেয়ে হায়দারের বড় ভাই ইমরান এগিয়ে আসলে মামুন ও তার বোন সোনিয়া তাদের হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে ইমরানকে মাথায়,বুকে, পিঠে আঘাত করলে নীচে ফুলোরে পড়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সাভার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।আরও বলেন, ৯৯৯ নাইনে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে শ্রমিক মামুনকে আটক করে রাখে মালিক পক্ষ পরে পুলিশ ও সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রতিবেশি মামুনকে চিকিৎকার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।সাইফুল ইসলাম বলেন,কারখানায় মারামারির পর উভয় পক্ষই আমাকে ডাকলে আমি সেখানে উপস্থিত হয়। উভয় পক্ষইকে মিমাংসার কথা বললে তারা রাজি হয়।আমি বল্লাম চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর মিমাংসা করে দেওয়া হবে। উভয় পক্ষ দরিদ্র হওয়ায় চিকিৎসার টাকা আমি দিয়েছি।

মামুনের পক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছে।এখন পুরা বিষয়টা দেখি অন্য পর্যায়ে চলে গেছে। এলাকার লোকজন আমাকে মিমাংসার কথা বলেছিলো এখন আর সম্ভব নয়,শুনেছি উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে।এসময় তিনি উভয়পক্ষই অসহায় জানিয়ে বলেন, ‘যদি তারা (দুই) পক্ষই মিমাংসা হয় এটা হলো সবচেয়ে আলহামদুলিল্লাহ। যদি হ্যারা মিমাংসায় না আসে তাহলে মামলা করবে।ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম বলেন, ‘ওই ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের মধ্যে একটা ঝামেলা সৃষ্টি হয়। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন পাইয়া আমি ওখানে যায়।

যাওয়ার পরে দেখলাম উভয়পক্ষই মারামারি করছে। পরে ওখানকার এলাবাসি ও সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওসি স্যাররে সাথে কথা বলে উভয়পক্ষের সাথে মিমাংসার কথা বলে।ঠিক আছে আপনারা মিটমাট কইরা নিয়েন। বইলা আমি চইলা আসছি। তবে উভয় পক্ষের অভিযোগের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।