যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নং শেডে আগুন: ৩০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রনে ।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: আবারও বেনাপোল স্থল বন্দরে আগুন ৩০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয় বেনাপোল ফায়ার ইউনিট।
মঙ্গলবার(২৭/০৮/১৯ইং)তারিথ সকাল সাড়ে ৯ টার সময় এ আগুনের সুত্রপাত ঘটে বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩৫ নং শেডে। আগুনে ওই শেডে রাখা আমদানিকৃত কেমিক্যাল পন্য পুড়ে যায়। এ সময় বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট, বন্দরের শ্রমিকরা এক যোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য। সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আধাঘন্টা কাজ করে আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডে সংঘটিত ৩৫ নং শেড বেনাপোল বন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক আলম হোসেন বলেন, হঠাৎ কেমিক্যাল ষ্টোর (গোডাউন) ৩৫ নং শেডে আগুন এর সুত্র পাত দেখা যায়। তখন আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য গ্যাস ব্যবহার করি। এরপর বেনাপোল স্থল বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট এসে কাজ করে। কিছু সময় পর বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
৩৫ নং শেডের ইনচার্জ মনির হোসেন জানান, এখানে লিকুইট কেমিক্যাল ছিল। কিভাবে এই কেমিক্যাল পন্য আগুন এর সুত্র পাত ঘটেছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কত টাকার পন্য পুড়েছে তাও এই মুহুর্তে বলা যাবে না।
বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নং শেডে আগুনের কাজ আধা ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে কিভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে তা এই মুহুর্তে বলা যাবে না।
স্থল বন্দরেরর পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস জানান, আগুন এখন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে। কি ভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগুন ধরার ঘটনা বন্দর চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।