মেহেদি মাসুদ জানান, নদীতে নৌকা ভ্রমণে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু শুক্রবার নৌকার মালিকরা যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট না পরিয়ে নৌকায় উঠান। আর এই অবহেলার জন্যই নৌকাডুবির ঘটনায় মালিক ও মাঝির নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির পর ১১ জন সাঁতরে তীরে ফিরে আসলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ দুইজন হলেন, সাদিয়া ইসলাম সূচনা (২২) নামের একজন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এবং রিমন (১৪) নামের একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল কাজ করছে।
রাজশাহীর ফায়ার সাভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে ১৩ জন যাত্রী একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে বেড়াচ্ছিলো। এ সময় নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মায় নৌকাটি ডুবে যায়। ১১ জন যাত্রী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ও সাঁতরে তীরে উঠে আসে। বাকি দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলেছে। এরপর আবারো শনিবার সকাল ৭টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
জাকির হোসেন আরো জানান, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুইজন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলো। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী নুরুন্নবী বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে যে আবর্জনা তৈরি হয় সেগুলো নদীতে জমে যাওয়ার কারণে ডুবুরীদের সঠিকভাবে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তবুও আমরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যতক্ষণ নিখোঁজ দুইজনকে পাওয়া না যায় ততক্ষণ এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এমএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ওই নৌকাতে যারা ছিল তারা সবাই একই পরিবারের। তাদের বাড়ি পবা উপজেলার দামকুড়া থানার খোলাবনা গ্রামে। বেড়ানোর জন্য তারা বের হয়েছিল। পরে নৌকা ভাড়া করে পদ্মায় তারা ঘুরছিল। নিখোঁজ সুচনা ও রিমন খালাতো ভাইবোন।