সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ ডোজ টিকা এখন ঢাকায়সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ ডোজ টিকা এখন ঢাকায়
চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। টিকা বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন। টিকাগুলো কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্ম থেকে এসেছে।
হুয়ালং ইয়ান বলেন, সিনোফার্মের ১৭ লাখ ডোজ টিকা বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। চীন খুব শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে টিকার যৌথ উৎপাদন করবে।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করা হবে, পর্যায়ক্রমে এসব টিকা দেশে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। এরই মধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করব। সব মিলে চীন থেকেই সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে।
এসব টিকার মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই দুই কোটি করে মোট চার কোটি ডোজ টিকা আসবে বলেও জানান তিনি।
এরই মধ্যে দেশের ১ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২ জন মানুষ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৩০ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ জন।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪২৪ জন, আর নারী ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ২০৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৫ আর নারী ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি তিন লাখ ৫৮ হাজার ১৮ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫ জন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৭২ হাজার ৪০৭ জন। আর মডার্নার টিকা নিয়েছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৪০১ জন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭ এবং নারী ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৯৮১ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৫ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪০ এবং নারী ১৬ লাখ ৫০ হাজার ১৫ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ নয় হাজার ৯৭ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৬৬ জন।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে আজ পর্যন্ত এ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ২৪৯ এবং নারী ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৬ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৩ জন প্রথম ডোজ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২২ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৫ এবং নারী ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৮ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৯৩ হাজার ৪১৪ জন পুরুষ এবং নারী ৭৮ হাজার ৯০৮ জন।
ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৭২ হাজার ৪০৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬১ হাজার ৬১০ এবং নারী ১০ হাজার ৭৯৭ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০ হাজার ২৫৫ জন প্রথম ডোজ এবং ২২ হাজার ১৫২ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৪৩ হাজার ২৪৮ এবং নারী সাত হাজার সাতজন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ১৮ হাজার ৩৬২ জন পুরুষ এবং নারী তিন হাজার ৭৯০ জন।
এদিকে ১৩ জুলাই থেকে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই টিকা নিয়েছেন ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৯৫২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ১৭ হাজার ৪৯৩ এবং নারী ৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৯ জন প্রথম ডোজ এবং ৪০৩ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ১১ লাখ ১৭ হাজার ২৪৪ এবং নারী ৭ লাখ ৯১ হাজার ৩০৫ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ২৪৯ জন পুরুষ এবং নারী ১৫৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২ কোটি ৬৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৬ জন করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।