অবহেলা নয় তরুণ প্রজন্মকে সাংবাদিকতায় দিতে হবে

Loading

লেখকঃ নজরুল ইসলাম তোফাঃঃ আমি ব্যক্তিগত ভাবেই লিখে যাচ্ছি কিন্তু টাকার প্রত্যাশা না করলেও কিছু টাকাপয়সা দিলে কারনা ভালো লাগে, তো দেখা যায়, উল্টো আমাদের কাছেই চায়।

তাই বলি- ৮ বছরের লেখা লেখির জগতে আজ অনেকটাই ক্লান্ত। আগে সাংবাদিকতার গুনগত পরিবর্তন এতোটা খারাপ ছিল না। বেশ ক’টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতো তাদের যেন আদর্শ ছিল। ‘সনাতন মূদ্রণ’ পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়ে কম্পিউটার অর্থাৎ ডিজিটালযুগে প্রবেশ করে যেন শুরু হয়েছে সব ঝামেলা। কিছু সাংবাদিক স্থানীয়ভাবেই স্বল্প পারিশ্রমিক পেতে শুরু করলেও এখন সেটাও বন্ধ করা জন্য প্যাইতারা চালায়।

এমন নতুন প্রযুক্তির সাথে মেধা সম্পন্ন সাংবাদিকরা নিজেদের সমন্বয় করতেই হিমশিম খাচ্ছে। তাদের পেশাদারিত্বের প্রতিও অবহেলা বাড়ছে। বেশকিছু নতুন সাংবাদিকরা পেশায় অন্তর্ভুক্ত হয়, তারা আজকে মানুষের দ্বারেই ক্রাইম করছে। সত্য কথা এমন ভাবে বলার সৎ সাহসটাও সাংবাদিকদের নেই। যারা না কি এখনো দাপটের সঙ্গেই পেশায় আছে তারা মিডিয়ার বিস্ফরন ঘটানোর জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এর দ্বারস্ত হচ্ছে।সাংবাদিকতায় এই ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয় প্রিন্ট আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মধ্যে।

বলা যায় যে স্থীর ক্যামেরা হাতের সাংবাদিকের হাতে চলে আসে “চলমান ক্যামেরা”, ৩৫ ফ্লিল্ম দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে এখন- ডিজিটাল ক্যামেরায় পদার্পন। খরচ কমে যায়, সাংবাদিকরা পায়ে হাটা আর বাইসাইকেল ভুলেই গাড়ী আর মটরসাইকেল আর মোবাইল ফোন ইন্টারনেট জগতে ঢুকে পড়ে।

অতীতের সময় থেকে এই মূহুর্ত পর্যন্ত ক্রমে ক্রমেই যেন আধুনিকতায় প্রবেশ করেছে, সুযোগ সন্ধানী বেশ কিছু সাংবাদিকরা। অবশ্যই বুকটা ভরে যায়, যখন দেখি এই সাংবাদিকরা ঐ জায়গার সাংবাদিক হয়ে নানা চ্যানেলে লাইভ সংবাদে ক্যামেরার সামনে দাড়িয়েই তথ্য বিলিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে বসেই তারা যেন ভবিষ্যত দেখতে পান, ভালোই লাগে, অথচ এ দেশের কোনো লেখক দৃঢ় কণ্ঠে বলতেই পারবেন না, পত্রিকা গুলোর করুন দশায় এসে দাঁড়িয়েছে। উপযুক্ত সম্মানী ও প্রকাশক করবার কিছুটা ঝামেলা থেকে রেহাই পেতেছে। আর একটা কথা, এখন যারা সা়ংবাদিকতায় ভাল কাজ করবার জন্যে খুব চেষ্টা করছে। তারা শেখার আগেই যেন তেষ্টা মেটানোর দিকে বেশি ঝুকে পড়ছে। সুতরাং, তাড়াতাড়ি স্মার্ট ফোন আর কত বেতন হবে এইসব কথা আগেই শর্ত দিয়ে ফেলছে। শিখলে, জানলে, বুঝলে, পারলে এইসব সুবিধা আপনা আপনি এসে যাবে। নিজের মান বৃদ্ধিটাই জরুরি বিষয়। অভাবে থেকে বাহাদুরি নয়, নতুন কিছু করার চেষ্টাতেই প্রস্তুত হই। নতুন কিছুর পরিবর্তন এনে ‘আবিস্কার করি’।

সুতরাং অভাবে স্বভাব নষ্ট না করে এমন সা়ংবাদিকতার পেশাটাকে ‘পরিচ্ছন্ন রাখি’। বর্তমানে এই সা়ংবাদিকতায় তরুণপ্রজন্মের অনেক জায়গা এখনো খালি আছে। এই দেশে প্রকাশনা শিল্পটাকে সমৃদ্ধ করি।