সব জল্পনা-কল্পনার শেষে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে মাত্র ১৩ ভোটে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তবে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদটি বাতিল হতে পারে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হয়ে গত (বুধবার) ২ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা আসে।
এ ছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিলের আবেদন করেছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। ভোট কেনার অভিযোগ এনে তিনি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে আবেদন জানান। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনার জন্য আসে। চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আর এই চিঠিতে বাদী-বিবাদী উভয়কে নিয়ে (শনিবার) ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিএফডিসিতে বসবেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বেশ খুশি বাদী চিত্রনায়িকা নিপুণ।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগগুলো আমলেই নেয়নি। বাধ্য হয়ে মন্ত্রণালয়ে গেছি আমরা। ডকুমেন্টসহ যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছিলাম, তাতে পুরো নির্বাচনের ফলই বাতিল হওয়ার কথা বলেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমরা বলেছি, ‘যে দুই পদ নিয়ে অভিযোগ, ওই দুই পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। পরে অভিযোগের ডকুমেন্টগুলো দেখে ওই দুজনের ব্যাপারে আপিল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
এ বিষয়ে নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জানিয়েছেন, ‘বিষয়টির সুরাহা করতে মন্ত্রণালয় আমার ওপর সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছে। শনিবার দুই পক্ষের সঙ্গে বসব। অভিযোগগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সামারি তৈরি করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। ’
তবে চিঠির ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচন শেষ। ২৯ জানুয়ারি করা আপিলের নিষ্পত্তি ও চূড়ান্ত রায় নিপুণরা সবাই মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের কাগজ আমার কাছে আছে। এরপর নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের আর কোনো কার্যকারিতা নেই। এরপরও বাদীর কিছু বলার থাকলে মহামান্য কোর্টে গিয়ে বলতে পারেন। আমাকে সোহান ভাই ফোন দিয়েছিলেন। চিঠিও দেবেন বলেছেন। বসতে চান তিনি। আমি তাকে বলেছি, আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব। কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত। কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’