সাভারের আমিনবাজারে দুই বছরের শিশুসহ বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর থেকে নিহত ব্যক্তির খামারের রাখাল পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টারদিকে আমিনবাজারের বরদেশির রুপালি সৈকত হাউজিং কোম্পানির ভেতর থেকে শিশুর খণ্ডিত মরদেহসহ বাবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলার ফুয়াদুল ইসলাম (৫৪) ও তার দুই বছরের ছেলে আশিক।
জানা গেছে, ফুয়াদুল ইসলাম আমিনবাজারের বরদেশি গ্রামের রুপালি সৈকত হাউজিং কোম্পানির ভেতরে একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে রাখালের মাধ্যমে ৪টি গরু ও তিনটি বাছুর পালন করতেন। সেই রাখালের নাম জয়। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ফুয়াদুল ইসলাম বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় ৪টি গাভী ও তিনটি বাছুর পালন করে আসছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী গ্রামে থাকেন। এখানে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তিনি। সেই স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান হলে ৩/৪ মাসের মাথায় স্ত্রী তাদের ছেড়ে চলে যান। তখন থেকে ফুয়াদ শিশু সন্তানকে দেখাশোনার পাশাপাশি গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। খামারের রাখাল তাদের হত্যা করে গরু আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার ওই রাখাল ফুয়াদুল ইসলামের খামারের গরু বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এলাকাবাসী মালিক না থাকায় গরুগুলো বিক্রি করতে দেননি। স্থানীয়রা মালিকের উপস্থিতিতে গরু বিক্রি করতে বললে তিনি চলে যান। সোমবার খামারের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা খামারের ভেতরে গিয়ে বাবা ও ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ খামারের ভেতরে বালুচাপা দেওয়া ছিল। কিন্তু শিয়াল বালু খুঁড়ে মরদেহ বের করলে দুর্গন্ধ বের হয়। নিহত শিশুর মরদেহ শিয়াল টেনেহিঁচড়ে খণ্ড খণ্ড করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫/৬ দিন আগে তাদের হত্যা করে বালুচাপা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জয় নামের ওই রাখাল পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করছে।