আশুলিয়ার কুড়গাও এলাকায় ২ শিশু সন্তানের জননীর পরকিয়ায় বাধা হওয়ায় স্বামীকে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি

Loading

নজরুল ইসলাম মানিক,আশুলিয়া ঃ আশুলিয়ার কুড়গাও এলাকায় ২ শিশু সন্তানের জননীর পরকিয়ায় বাধা হওয়ায় স্বামীকে স্থানীয় কয়েকজন স্বার্থলোভী মাদবর ও ক্যাডার দিয়ে প্রভাবিত করে ঘর আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়কে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় দুটি মেয়ে শিশু সন্তান পৃত্রিহারা হয়ে ভবিষ্যত অনুজ্জলের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৮ বছর পুর্বে সামাজিক ভাবে পটুয়াখালি জেলা খানা নুরাইনপুর সাপলাকান্দি গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মো: ইদ্রিস আলির সাথে একই থানা এলাকার পটুয়াখালি জেলা খানা নুরাইনপুর সাপলাকান্দি গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মো: ইদ্রিস আলির সাথে একই থানা এলাকার জান্নাতুল ফেরদাউস উর্মির বিবাহ হয়। বিবাহের ৫/৬ বছর ভালো ভাবে সংসার চলার পর স্বামীর বড় ভাই শাহজাহানের সাথে শুরু হয় পরকিয়া সম্পর্ক। ধীরে ধীরে তাদের অসামাজিক কার্জকলাপে পরিনত হয় ।

একপর্যায়ে তাদের পরকিয়া আর অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনা প্রমানিত হলে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে বিচার শালিসে ভবিষ্যত সতর্কবানী দিয়ে সংসার করার অঙ্গিকার করে উর্মি। কিছুদিন পরে আবারোও শুরু হয় তাদের পরকিয়া । এভাবে একাধিকবার বিচার শালিসের পর স্ত্রীকে স্বামী ইদ্রিস ক্ষমা করলেও বন্ধ হয়নি উর্মির গোপন পরকিয়া। স্বামী ইদ্রিস আলী বার বার উর্মির পরকিয়ার বাধা হওয়ায় ৫/৬ মাস পুর্বে সে স্বামীর বাড়ি থেকে ৩ বছর ও ৭ বছরের ২টি সন্তানকে ফেলে রেখে বাবার বাড়ি চলে যায়। বাবার বাড়ি যাওয়ার পর থেকে উর্মি বার বার স্বামী ইদ্রিস আলীকে এই এলাকা ছাড়তে আর হামলা মামলার হুমকী দিয়ে আসছে ।

গত ২০ দিন পুর্বে স্থানীয় স্বার্থলোভী মাদবর রৌশন আলী,মান্নান, আনোয়ার ও সিদ্দিকসহ কয়েকজন ক্যাডারকে দিয়ে হুমকী দেয় এবং উর্মিকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করেছে। ইদ্রিস আলী মাদবরদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চাহিবা টাকা দিতে অন্বীকার করায় উর্মিকে দিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি নারী নির্যাতন করার একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক জসিম ঘটনাটি তদন্ত করেন।

উর্মির পরিবার ও স্বার্থলোভী মাদবরদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে বাড়ি আর শিশু সন্তান হাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইদ্রিস আলী। এদিকে স্ত্রীর পরকিয়া আর চরিত্র খারাপ থাকার কারনে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে সরকারী বিধিমোতাবেক ও শরিয়ত মোতাবেক তালাক প্রদান করেন।