একাত্তর টিভি নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

Loading

সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যুরোঃ একাত্তর টেলিভিশন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এর আয়োজন করে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। এতে সাংবাদিক ছাড়াও প্রগতিশীল চেতনার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা একাত্তর টিভিকে সহ্য করতে পারে না। তাদের কাছে একাত্তর টিভির প্রধান দোষ হলো ৭১ শব্দটি। অন্য কিছু নয়। আমরা একাত্তর টেলিভিশনের সাথে আছি।

রাকসুর সাবেক ভিপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে একাত্তর টিভি। তাই একাত্তর টিভিকে নিয়ে এখন ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সফল হয় না। আমরা একাত্তরে যুদ্ধ করেছি, এখন একাত্তর টেলিভিশনের বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও লড়তে প্রস্তুত আছি। লড়াই শুরু হলে ষড়যন্ত্রকারীদের সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে।

কর্মসূচিতে অন্যান্য বক্তারা বলেন, যারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে তারাই গণমাধ্যম ভয় পায়। যারা ২১ মানে না, ৫২ মানে না, ৭১ মানে না তাদেরই একাত্তর টিভি নিয়ে গাত্রদাহ। তারাই একাত্তর টিভি বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষই ষড়যন্ত্রকারীদের বয়কট করবে। রাজনীতির জন্য তাদের সা¤প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত কেউ মেনে নেবে না। এ দেশে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে, গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিয়েই রাজনীতি করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামার উল্লাহ সরকার, দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আরইউজের সভাপতি কাজী শাহেদ। কর্মসূচি পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক।

আরও বক্তব্য দেন- আরইউজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি মামুন-অর-রশিদ, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, ছাত্রনেতা তামিম শিরাজী প্রমুখ।