কটিয়াদীতে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী কুটির ও দূর্বাবিল “খাল খননের দাবী এলাকাবাসীর”

Loading

মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ)ঃ বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী কুটির ও দূর্বাবিল! খাল খননের দাবী এলাকাবাসীর।কতিপয় অসাধু স্বার্থপর লোকরা খাল ভরাট করে বিলীন করে দিচ্ছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরপুক্ষিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কুটির ও দূর্বাবিলের খালটি।খাল ভরাট করার কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও শত শত কৃষকেরা ক্ষতির স্বীকার।বর্তমানে এ বিল দুটি কচুরিপনা আর বিভিন্ন আর্বজনায় ভরপুর রয়েছেন।

জানা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের চরঝাকালিয়া গ্রামের কতিপয় অসাধু স্বার্থপর লোকরা তাদের বাড়ীর চরঝাকালিয়া মৌজা খাস খতিয়ান নং ২৯০৮,২৯৫০,২৯৪০ দাগের প্রায় দেড় কিঃ মিঃ লম্বা কুটিরবিল থেকে দুর্বাবিল পর্যন্ত খালটিকে কাটতে কাটতে প্রায় জমির সাথে মিশিয়ে ফেলছে। এতে করে বর্ষার মৌসুমে কয়েক গ্রামের পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত না হতে পারলে এলাকার কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে ও স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্চে এবং কৃষি জমির উপর হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।

যা এই এলাকার শত শত কৃষকেরা ক্ষতির স্বীকার হবে বর্ষা মৌসুমে।এ এলাকার লোকজন একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের বাড়ি বরাবর মাটি দিয়ে এই খালটি বরাট করায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্চে এলাকার সাধারন প্রান্তিক কৃষকেরা।এছাড়া দূর্বার বিলের পানি কুটির বিলে আবার কুটির বিলের পানি লোহাজুড়ি মরাগাঙ্গে প্রবাহিত হয়ে আড়িয়াল খা নদীতে প্রবেশ করত।বর্তমানে অড়িয়াদর বাজার সংলগ্ন সুইচগেইট বন্ধ থাকায় আড়িয়াল খা নদীতে ও এ দুটি বিলে পানি আসতে পারেনা।পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা ভূমি অফিসে কয়েকবার আবেদন করলেও কোন প্রদক্ষেপ নিচ্চেন না প্রশাসন।

টুনিয়ারচরের প্রবীনলোক হাজী আঃ রাজ্জাক মুন্সী/মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, বহু বছর আগে থেকে বর্ষার মৌসুমে এই খাল দিয়ে এলাকার কৃষকরা তাদের ফসল নৌকা বা ভোর দিয়ে আনা নেওয়া করত এবং রবি মৌসুমে খাল থেকে পানি নিয়ে বোরো ধান, আলু, মরিচ, পেয়াজ সহ বিভিন্ন শীতকালীন শাক সবজি চাষাবাদ করত।

এলাকার প্রান্তিক চাষিরা জানান,এখালটির প্রস্থ ছিল ২৫-২৮ফুট।এখন এলাকার কিছু ভূমিদস্যুরা মাটি দিয়ে ভরাট করতে করতে ড্রেনের মত করে ফেলেছে।ফলে বর্ষার মৌসুমে পানি চলাচল করতে পারেনা এবং জমাট বেধে থাকে।এতে করে কয়েকশত কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্চে। জনপ্রতিনিধিদের নিকট একটাই দাবি এখালটি দ্রুত খনন করে আমাদের ফসলগুলো রক্ষা করলে আমরা সকল কৃষকগন উপকৃত হব।

১০নং জালালপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ গোলাপ মিয়া জানান,এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আবেদন পাঠিয়েছি।বাজেট আসলেই খাল খননের কাজ শুরু করব।