
বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধে কেউ কারখানা খুললে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই। করোনা যেভাবে ছড়িয়ে গেছে, সে বিষয় নিয়ে আজকে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’
বিধিনিষেধের মধ্যেও অনেকে কলকারখানা চালু রেখেছেন- একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কেউ খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে? যদি খুলে থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। আসলে এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। তারা যেসব নাম বলছে, সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা (করোনা) যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য এটাই উপযুক্ত কৌশল, সেটি হচ্ছে বিধিনিষেধ। সেক্ষেত্রে এটি ৫ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকরভাবে করার একটি নির্দেশনা আছে।
বিধিনিষেধ কঠোরতম হওয়ার কথা আপনি বলেছিলেন। কিন্তু সেটি মাঠে দেখছি না- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করত, সেগুলো কমেছে। এগুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে এলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টস খুলে দেয়ার কোনো চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত নেই।’
 
            
































