“গণরুমে থেকেই যদি ভালো রেজাল্ট করা যায় তবে রুমের কি দরকার?”

Loading

সাঈদ বিন ইসলাম জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলের ওয়ার্ডেন ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল বারী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের (৪৭ ব্যাচ) উদ্দেশ্যে বলেন, গণরুমে থেকেই যদি ভালো রেজাল্ট করা যায় তবে রুমের কি দরকার?”

তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের (৪৭ ব্যাচ) উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ” সিট পেতে হলে তোমাদেরকে আগে হল প্রশাসনকে স্মারক লিপি দিতে হবে ; হলের সামনে আন্দোলন করতে হবে।”

সিট সংকট নিরসনের দাবিতে জাবির বঙ্গমাতা হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করলে তিনি একথা বলেন।

এ সময় ছাত্রীদের ভিতর থেকে আওয়াজ ওঠে,” সিট আমাদের ন্যায্য অধিকার আমাদের কেন আন্দোলন করতে হবে কিংবা স্মারক লিপি দিতে হবে?”

নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী খাদিজাতুর কোবরা বলেন,” গণরুমের এত কষ্ট সহ্য করে, ছারপোকার কামড় খেয়েও অনেকে বিভাগ ভালো রেজাল্ট করছে এমনকি প্রথম ও হয়েছেন। আমাদের রুমের ব্যবস্থা করলে আমরা আরো ভালো পড়াশোনা করতে পারতাম।“

আইন ও বিচার বিভাগ ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাইম আনিকা বলেন, ‘হলে সিট সংকটের জন্য পুরোপুরি প্রশাসন দায়ী। কারণ তারা দেখে নাই আদৌ এই হলে সিট খালি আছে কি না। তারা না দেখেই কেন হলে এলট দিলো? শেখ হাসিনা হলে ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রুম পাওয়া শুরু করেছে। বেগম খালেদা জিয়া হলে উঠার ৬ মাসের মধ্যে ৪৮ ব্যাচ রুম পেয়ে গেছে। তাহলে কেন আমাদের এই দিন দেখতে হচ্ছে। আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এবং রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছি’।হলের আবাসিক শিক্ষক সোলনারা আক্তার বলেন,” এটা তাদের ন্যায্য দাবি কিন্তু অল্প সংখ্যক ছাত্রী সংযুক্ত করতে বলা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ছাত্রীর অ্যালট দেয়া হযেছে।”

হলের প্রভোস্ট পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন,” আগামীকাল থেকে তাদের সিট বন্টন কার্যক্রম শুরু করবো এবং ৩১ জুলাই এর মধ্যে সকল শিক্ষার্থী তাদের সিট পাবে বলে আশা করি।”