চলে গেলেন সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্দুল হালিম – এনডিপির শোক
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মির্জা আব্দুল হালিম ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় তার জন্মস্থান পাবনা জেলার বেড়া থানার ঐতিহাসিক জয়নগরের কৈটুলা গ্রামের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাবেক মন্ত্রী। তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। মৃত্যুকালে দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মির্জা হালিম।
মির্জা আব্দুল হালিম বাংলাদেশের পাবনা জেলার রাজনীতিবিদ, যিনি তৎকালীন পাবনা-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
মির্জা আব্দুল হালিম পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার জয়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ভাই মির্জা আব্দুল আউয়াল দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন পাবনা-৮ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আব্দুল জলিলও তার ভাই।
মির্জা আব্দুল হালিম ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাবনা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাবনা জেলার প্রথম মন্ত্রী। মির্জা আব্দুল হালিম মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্নেহধন্য ছিলেন।
মির্জা আব্দুল হালিম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কৈটোলার প্রথম প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্ব গ্রহন করেন মির্জা আব্দুল হালিম। কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মির্জা আব্দুল হালিম পাবনা জর্জ কোর্টে উকালতি শুরু করলে তার পক্ষে আর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না।
জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মির্জা হালিমের বেশ সুনাম ছিল। তিনি ভেক্টরিয়া ক্লাবের হয়ে খেলতেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা, মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা। শোক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঐতিহ্যবাহী পাবনা মির্জা পরিবারের সন্তান মির্জা আব্দুল হালিম গনমানুষের নেতা ছিলেন।তিনি যেমন ছিলেন জনপ্রিয় শিক্ষক, তেমন ছিলেন পেশাদার আইনজীবী।
কৃতি খেলোয়াড় হিসেবেও তার বেশ সুনাম ছিল। পাবনা জেলার প্রথম মন্ত্রী হিসেবে পাবনা জেলার উন্নয়নে ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন।তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।