ঝালকাঠিতে করোনা সংকটে কিস্তির টাকা না দিতে পারায় ঋণ গৃহিতাকে হত্যার চেষ্টায় থানায় অভিযোগ দায়ের

Loading

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও থেমে নেই বেসরকারি সমবয় সমিতির আওতাধীন কিস্তির টাকা আদায়।

আর এ কিস্তির টাকা দিতে না পারায় মজিবর রহমান(৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে মিলন হাওলাদার(৩৮), ও সুমন মাঝি( ৩৬) নামের দুই এনজি কর্মীর বিরুদ্ধে।

২৫/০৬/২০২০ইং তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে শহরের পুরাতন খেয়াঘাটে।

থানায় দায়ের করা মামলা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিলন ওরফে কালা মিলন মোবাইল ফোনে মজিবরকে ডেকে নিয়ে করোনা মহামারির মধ্যেও জোর করে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেয়। এ সময় মজিবর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার পর টাকা দেয়ার কথা বললে মিলনের সঙ্গে থাকা সুমন মজিবরকে বেধরক মারধর করে।

এক পর্যায়ে তারা মজিবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে এবং গলায় চাকু দিয়ে পোজ দেয়। এতে তার রক্তক্ষরণ হয়।পরে তার গলায় থাকা ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন, নগদ আড়াই হাজার টাকা ও সাড়ে ৬ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মজিবরকে খুনের ভয় দেখিয়ে মিলন ও সুমন চলে যায়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মজিবর বলেন, করোনা মহামারীর পূর্বে আমি ঝালকাঠি শহরের সদর চৌমাথা এলাকার আশার আলো কৃষি উন্নয়ন সমবয় সমিতির লিমিটেড থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করি। নিয়মিত ভাবে ৯টি কিস্তির টাকাও পরিশোধ করি।কিন্তু এর পর করোনা মহামারী শুরু হলে আর্থিক ভাবে অসহায় হয়ে পড়ি এবং তিন মাস ধরে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হই।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিতে সরকার এনজিও ঋণের কিস্তি পরিশোধ শিথিল করেছে। এমন কি চাপ দিয়ে টাকা আদায় করলে ওই এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তারপরও আমার কাছ থেকে জোর করে আদায় করার চেষ্টা করে মিলন ও সুমন। আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই।

এ ঘটনার দৃষ্টান্ত বিচার দাবী করছি, বলেন মজিবুর রহমান।

এদিকে অভিযুক্ত মিলনের ফোনে ০১৬৮২৭৭২৯০৪ নাম্বারে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।