ঝালকাঠি বাজারগুলোতে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া

Loading

সৈয়দ রুবেল ,ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলা শহরের বাজারগুলোতে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি । সবজি কিনতে গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সবজির সঙ্গে পেঁয়াজ ও আলুর জন্যেও দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত দাম । অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, বাজারে গিয়ে পণ্যের দামে এক প্রকার নাকানিচুবানি খাচ্ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

১৩/১১/২০২০ইং তারিখ ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি। আবার দাম কমেওনি। গাজর, টমেটো, শিম, উস্তা, বেগুন, বরবটির কেজি ৮০ থেকে ১ শ’ টাকার ঘরে রয়েছে। বাকি সবজিগুলোর দামও ব্যাপক চড়া। বেশিরভাগ দাম ৮০ টাকার কাছাকাছি। বাজার ও মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত কয়েক মাসের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সরকার দুই দফায় আলুর দাম বেঁধে দিলেও এখনও আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

শীতের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামেও স্বস্তি পাচ্ছেনা ক্রেতারা । ছোট একটি ফুলকপি কিনতে গেলেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এদিকে ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামেও। ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা।

বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আমদানি করা বড় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বড় বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, সবজির দাম কমতে আরও সময় লাগবে। শীতের সবজি বাজারে ভরপুর আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম।

এখন বাজারে যে হারে আগাম সবজি আসছে চাহিদা তার চেয়ে বেশি। এ কারণেই দাম এখনও চড়া।

ঝালকাঠির চাদকাঠী চৌমাথা বাজারের একজন সবজি বিক্রয়তা বলেন, আমি প্রায় ৭ বছর ধরে সবজি বিক্রি করছি। আগে কখনো এত দীর্ঘ সময় ধরে সবজি এমন চড়া দামে বিক্রি করিনি। সবজির দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বিক্রিও অনেকটা কমে গেছে। ফলে লাভও হচ্ছে কম, যা আয় হচ্ছে তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি।

সবজি বিক্রি কমার পরও দাম কেন কমছে না জানতে চাইলে এই অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, বিক্রি যে হারে কমেছে বাজারে সবজি আসা কমেছে তার চেয়ে বেশি হারে। আড়তে গিয়ে আমরাই অনেক সময় পছন্দের সবজি কিনতে পারি না।

তবে শীতের সবজি ওঠা শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা, সামনের মাস থেকে দাম অনেকটা কমতে পারে।

বেশিরভাগ ক্রেতারা বলেন, একেবারেই সবজি না খেলে হয় না, তাই মাঝে কিছু সবজি বেশি দাম দিয়েও কিনতে হয়।