টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করো’ স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ঠাকুরগাঁও শহর

Loading

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :পৌর টোল ও টোলের নামে চাঁদাবাজি এবং ইজি বাইক শ্রমিকগণের প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ইজি বাইক(আটো রিক্সা) চালক শ্রমিকরা।এরই অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশ করার পর ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ ইজিবাইক শ্রমিকগণ। পৌর টোলের নামে চাাঁদাবাজি বন্ধ করো আন্দোলনকারীদের এমন বিক্ষুব্ধ স্লোগানে উত্তাল ছিলো ঠাুকরগাঁও শহর।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঠাকুরগাঁও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে শহরের প্রায় ৫ শতাধিক ইজিবাইক শ্রমিকগণ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুব আলম রুবেল, সাধারন সম্পাদক আবু আস লাবু, রোড সেক্রেটারি আব্দুল খালেক, ইজি বাইক শ্রমিক, শাহাজাহান আলী, সুমন ইসলাম, মো: বাবু, মো: ফারুক।

এছাড়াও এ আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা জেএসডি’র সভাপতি মনছুর আলী, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, ছাত্রনেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঠাকুরগাঁও সদরে ইজিবাইক (ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা) চালকদের কাছ থেকে পৌর সভার টোলের নামে জোর জবরদস্তি শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে বছরে ২ কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর পৌর এলাকায় ৮-৯ টি পয়েন্টে লাঠি হাতে গাড়ি আটকিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। কোন কারণে চাঁদা দিতে না পারলে যাত্রী থাকা অবস্থায় গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়াসহ চালকদের উপর শারিরীক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে।

বক্তারা আরও বলেন, পৌরসভার টোলের নামে বছরে ২ কোটি টাকারও বেশি টাকা আদায় করা হলেও পৌরসভা পায় যৎসামান্য। সিংহ ভাগ টাকাই ঢোকে টোল আদায়কারীর পকেটে।

এই টোল আদায় করা হচ্ছে কার স্বার্থে ? অথচ পৌর এলাকায় আছে ৫-৬ হাজার গাড়ি যার লাইসেন্স দিয়ে শুধু লাইসেন্স বাবদ পৌরসভা এর থেকে দুই থেকে তিন গুণ টাকা আয় করতে পারে।

পরে বিক্ষোভ র‌্যালি করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকগণ ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ঘেরাও করে। সেখানে টোল বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দিতে থাকে। পরে ঠাুকরগাঁও পৌর মেয়র ফয়সল আমিনের কাছে ৩ দফা দাবি নিয়ে ইজি বাইক শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় পৌর মেয়র ফয়সল আমিন শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, লাঠি হাতে টোল আদায় করা অন্যায়। কোন শ্রমিক যদি আমাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয় তাহলে আমি অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং আলোচনা স্বাপেক্ষে আমি শ্রমিকদের দাবি সমূহ বিবেচনা করবো।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশে ১৫ দিনের মধ্যে পৌর টোল বন্ধ না হলে বড় ধরণের আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকগণ। পৌর টোল বন্ধ না করলে জীবন দিয়ে শহীদ হওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।