তালতলীতে বোনকে উত্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে মারধর করলেন ছাত্রলীগ নেতা ।

Loading

মৃধা শাহীন শাইরাজ,তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীর দুইভাইকে বেধরক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ওই আহত একভাই গুরুতর অবস্থায় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই ছাত্রীর পারিবারিক অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কড়ইবাড়ীয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই পার্শ্ববর্তী কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের মনির গাজীর ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন গাজী (২১) বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল নাম্বার চেয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যাক্ত করে আসছে। ওই স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারের কাছে জানায়। শনিবার সন্ধ্যার পরে ওই ছাত্রীর বড়ভাই শহিদুল ইসলাম তার খালাতো ভাই ইমাম হোসেনকে নিয়ে কড়ইবাড়ীয়া বাজারে গিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা মিলন গাজীর কাছে গিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে। এসময় মিলন গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে শহিদুল ইসলাম ও ইমাম হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ও বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ইমাম হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

স্কুল ছাত্রীর ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, আমার বোনকে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে ছাত্রলীগ নেতা মিলন গাজী। বিষয়টি মিলণ গাজীকে বুঝিয়ে বলতে গেলে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। এতে আমার ভাই ইমাম হোসেন গুরুতর আহত হয়ে কলাপাড়া হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৯নং বেডে ভর্তি রয়েছে।

মিলন গাজী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শহিদুল কয়েকদিন আগে ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে কিছু বাজে কমেন্ড করছিল। এ নিয়ে ওদের মধ্যে কথার কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি হয়। পরে আমি গিয়ে ফিড়িয়ে ওদের তাড়িয়ে দেই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন স্বপন জানান, মিলনের বিরুদ্ধে ইভটিজারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইভটিজারকে ছাত্রলীগ পছন্দ করেনা। তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।