তিন মামলায় মডেল পিয়াসাকে ফের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে মডেল মৌকেও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) তিন মাদক মামলায় পিয়াসার ২৭ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ। এছাড়া বনানী ও মোহাম্মদপুর থানায় মাদক মামলায় পিয়াসা ও মৌকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিআইডি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মডেল পিয়াসাকে ফের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী। অন্যদিকে, মৌয়ের চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সতব্রত সিকদার।
এর আগে গত সোমবার (২ আগস্ট) তাদের আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এরও আগে মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় এবং মৌয়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মাদক মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় সোমবার (২ আগস্ট) তাদের আদালতে তোলা হয়।
রোববার (১ আগস্ট) রাতে বারিধারার বাসা থেকে আটক করা হয় মডেল ও উপস্থাপিকা ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসাকে। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, সিসা ও ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
পিয়াসা ও মৌকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সংবাদমাধ্যমককে বলেন, তারা দু’জন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানি। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীকালে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত পিয়াসা। সেই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। পরে পিয়াসার বিরুদ্ধেই মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেন ভুক্তভোগীদের একজন। ওই ঘটনার ৪ বছর পর ফের আলোচনায় মডেল পিয়াসা।