ধামরাইয়ে অবৈধ ভাবে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন।

Loading

ঢাকার ধামরাই উপজেলার আড়ালিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীতে বাংলা ড্রেজার (বোমা) মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অবৈধভাবে দিনরাত বালু উত্তোলন করেছে ঔ এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র।

দেশীয় বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন নদী তীরবতী বাড়ীঘর,স্কুল মাদ্রাসা ও ফসলিজমি। এছাড়া বালু উত্তোলন করে ড্রামট্রাক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করার ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবতি রাস্তাগুলি। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলীজমিসহ নদীর পারের অনেক গাছপালা। শুধু তাই নয় আসছে বর্ষা মৌসুমে ফসলীজমিসহ বাড়ীঘর পুণরায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশস্কা করছে এলাকাবাসি।

অনুসন্ধান তথ্যে ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ধামরাই উপজেলার সিতিবালি গ্রামের মোঃ লালমিয়া, আড়ালিয়া গ্রামের মোঃ তোফজ্জল মাস্টার, চৌঠাইল গ্রামের মোঃ রফিক মিয়া এরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বাংলা ড্রেজার (বোমা মেশিন) বসিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে লালমিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

স্থানীয়রা জানান,অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের তিন ফসলী জমি, বাড়ীঘর,স্কুল মাদ্রাসা ও গাছপালা ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশস্কায় ভুগতেছি। কারণ আমরা বালু উত্তোলন কারীদের বাধা দিতে গেলে উল্টো আমাদের উপর অত্যাচার করে তারা । যার কারণে এলাকার লোকজন তাদের কেউ কিছু বলতে পারে না। এছাড়া তিনি আর বলেন কিছু দিন আগে আমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর নালিশ জানিয়ে ও কোন কাজ হয় নাই। তাই আমরা গরীব মানুষ আমাদের কথা কে শুনে।

এর পর তারা আর ও জানান আমাদের পুর্ব পুরুষদের রেকডীয় জমি নদীতে ভেঙে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর আবার নদীতে জেগে উঠা তাদের জমির চরে ফসলের আবাদ করা বন্ধ করে। মোঃ লালমিয়া, তোফাজ্জল মাস্টার মিলে গত ২০ দিন যাবত জবরদখল করে বেকু দিয়ে বালু মাটি কেটে ড্রামট্রাক দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর অত্যাচার সহ বিভিন্ন মামলার আসামী করে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে ভয় দেখান। এ

অবস্থা চলতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে আমাদের বাড়ীঘরসহ ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। কারণ বাংলা ড্রেজার ও (বোমা মেশিন) দিয়ে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০ড্রামট্রাক বালু বিক্রি করছে। আর দিন রাত ট্রাক চলাচলের কারণে স্থানীয় গ্রামীণ সড়ক বিষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পুরো এলাকায় ধুলো বালির আস্তর পড়ে গেছে।ফলে এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সহ সাধারণ জণগণের মারাঅœক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এই ব্যাপারে মোঃ ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভাই আমারা গরীব মানুষ আমাদের কথা কে শুনে। আমরা গ্রামের লোকেরা মিলে উপজেলা স্যারের কাছে নালিশ দিলাম কিন্তু কই কিছুই হল না উল্টো আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী হতে হল। কারণ যারা বালু উঠায় তারা বুলে অনেক বড় লোক। তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারবে না।

এই ব্যাপারে আব্দুল সাত্তার হোসেন বলেন, আপনাদের কাছে বলে কি হবে। তিনি মনের খুবে আরও বলেন এই তো কয়েকদিন আগে আমরা গ্রামবাসি মিলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলাম, তারা কি করল পুলিশ এসে ধরে নিয়ে থানা নিয়ে পরে তাদের ছেড়ে দিল। আসল কথা হল আমরা গরীব মানুষ চাষবাস করে কোন রকমে দিন চলে। আমাদের কথা শুনার সময় কি আর তাদের আছে। এই দেখেন আমার বাড়ী বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙে কোথায় চলে গেছে। সর্বশেষ গেলাম ইউএনও কাছে তিনি আমাদের জন্য কিছু করল না।
এই ব্যাপারে আড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি আমার নিজে জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করেছি।

এই ব্যাপারে সিতিবালি গ্রামের লালমিয়া জানান, বালু উত্তোলনের ব্যাাপারে সব জানে কুল্লা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শিতল।
বালু উত্তোলনের ব্যাপারে তারা বলেন আপনারা যা পারেন তা করেন গিয়ে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নিবৃাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি এর আগে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার পুড়িয়ে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারা আবার ড্রেজার লাগিয়েছে আমি জানিনা। যদি তারা ড্রেজার লাগিয়ে থাকে তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যাবস্থা নিব।