মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন,ধামরাই (ঢাকা)থেকেঃ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে খুনি স্বামী ও নির্যাতনকারী পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তসুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এই মানববন্ধনে ধামরাইয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই, অঙ্কুর, স্বপ্নডানা, রক্ত সৈনিক, সচেতন নাগরিক সমাজ, ইচ্ছে আলো, কালের কন্ঠের শুভ সংঘ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার লোকজন এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধামরাইয়ের মেয়ে ইলমাকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।আমরা এর সঠিক বিচার দাবী করছি।নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। আমরা ইলমার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আরো কর্মসূচী গ্রহণ করবো।মানববন্ধনে নিহত ইলমা চৌধুরী মেঘলার বাবা কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।তিনি বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। তার শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। আমি হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি যেন আরো কোন মেয়ে তার শশুরবাড়িতে এমন ঘটনার সম্মুখীন না হয়।নিহত এলমার চাচা তিনজিন চৌধুরী বলেন, আমার ভাতিজিকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করে তিনিও কান্নায় ভেঙে পড়েন।মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র সাব- এডিটর মাহমুদ ইকবাল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন, কালের কন্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি আবু হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া, অঙ্কুর সংগঠনের সভাপতি মন্জুরুল হক রনি, স্বপ্নডানা সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার ফেরদৌস রানা, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি ইমরান হোসেন, রক্ত সৈনিক সংগঠনের নাহিদ খান।প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতেই নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শুশুর ও তার শাশুড়ীকে আসামি করে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বলে জানান ইলমার বাবা।
মামলা স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে গ্রেফতার করেছে বনানী থানা পুলিশ।