ধামরাইয়ে কাপড়ের রং ও ক্ষতিকর হাইডোজ রাসায়নিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল আখের গুড়।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই ঢাকা থেকেঃ ধামরাই উপজেলা কুল্লা ইউনিয়নের ফুডনগর এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিটাগুড়ের সঙ্গে চিনি, কাপড়ের রং ও ক্ষতিকর হাইডোজ রাসায়নিক মিশিয়ে দেদার তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত ভেজাল গুড়।

উচ্চমাত্রার হাইডোজ মেশানো গুরের খবর শুনে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই।খাদ্যসামগ্রী তৈরির সময় জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকা দরকার। কিন্তু অধিক মুনাফার আশায় পণ্যকে আকর্ষণীয় হিসেবে উপস্থাপন করতে অসাধু ব্যবসায়ী ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করছেন জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে। তা ছাড়া যে পরিবেশে সাধারণের জন্য গুড় প্রস্তুত করা হয়, তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো।

রাস্তার সাথেই ময়লার স্তূপের মত পরে আছে গুড় রাখার খালি পাত্র। দেখে মনে হয় এটা আবর্জনা রাখার জায়গা। গুড়ের পাত্র গুলো ব্যবহার শেষে তা ফেলে দেয়া হয়েছে এখানে। এবং তার পাশেই বিশাল একটি রুমের ভিতরে তৈরি করা হচ্ছে গুড়। রুমের বাহির থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে যেন সবাই মনে করে ভিতরে কেও নেই বা কারখানা বন্ধ রয়েছে। রুমের ভিতরের পরিবেশও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর।

অসাধু ব্যবসায়ীরা কম দামের পুরোনো আখের নরম চিটা গুড়, চিনি, ময়দা, কাপড়ের রং, ফিটকিরি, চুন ও হাইড্রোজ দিয়ে গুড় তৈরি করে তা আখের গুড় বলে বাজারে বিক্রি করছে। এতে যেমন প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা তেমনই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

আলামিন নামের আরেকজন জানান, এখানে বলা হয় আখের গুড় তৈরি করে। কিন্তু এই কারখানা তৈরি পর থেকে এখন পর্যন্ত একটি আখও দেখি নাই। তা হলে কি দিয়ে এখানে গুড় বানানো হয়। শুনেছি চিনি ও কয়েক প্রকার কেমিক্যাল মিশিয়ে এই গুড় তৈরি করা হয়। যা আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

কারখানার মালিক তাপস মোবাইল ফোনে বলেন, আমার এই কারখানায় আগে গুড় তৈরি করা হতো। কিন্তু করোনার জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে।

এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অন্তরা হালদার বলেন, এরকম কোন বিষয় আমাদের জানা নেই বা কেও কখনো অভিযোগ করেনি।অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।