ধামরাইয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গ্রেজেটভুক্ত না হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন ,ধামরাই(ঢাকা)প্রতিনিধিঃ-ঢাকার ধামরাই উপজেলার ৫৯ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা গ্রেজেটে না উঠার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সদস্যরা। আজ শনিবার সকালে ধামরাই বাজারের অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার অফিসের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

অথচ সরকার নির্ধারিত মন্ত্রালয় থেকে দুইটি যাচাই-বাচ্ছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হওয়ার পরও ৫৯ জনের নাম গ্রেজেট ভুক্ত না হওয়ায় তারা ক্ষোভে বিক্ষোভ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিক্ষোভ মিছিলে মুক্তিযোদ্ধারা জানান,কেউ ভারতের টেনিং প্রাপ্ত কেউ বা আবার বাংলাদেশে টেনিং করে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। এই সময় তারা বলেন সরকারি ভার্তার জন্য তারা দেশ স্বাধীন করে নাই। যেহেতু বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যাচ্ছে তা গ্রহণ করে আসছে তারা। মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম,জসিম উদ্দন,মহিউদ্দন,সামছুল আলম,ফজলুল হক,আফাজ উদ্দিন,মৃত নুরমুহাম্মদের পরিবারসহ ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা ২০১৪ সালে গ্রেজেটে ভুক্ত না হওয়ায়। মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেজেট থেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা বাদ পরে ধামরাইসহ সারা বাংলাদেশে। এনিয়ে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন আন্দোলন কমসূচি শুরু করে।

সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা করার জন্য ২০১৭ সালে সরকার নিধারিত স্থানীয় এমপিকে সভাপতি করে ৫ সদস্য একটি যাচাই-বাচ্ছাই কমিটি গঠন করে। ওই যাচাই-বাচ্ছাই কমিটিতে ৫৯ জনের নাম প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধাকালিন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা

কমান্ডারকে সভাপতি,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও জেলা প্রশাসকে সদস্য করে তিন সদস্য একটি যাচাই-বাচ্ছাই কমিটি গঠন করে দেয়। ওই কমিটিতেও ৫৯ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হয়। সরকারি ভার্তাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে থাকে। তারপরও গ্রেজেটে তাদের নাম সংযোজন না হওয়ায় গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের ভাতা থেকে তারা বঞ্চিত হয়।বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে আসবে।সেখানে ধামরাই থেকে ওই ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি সম্মনি ভাতা থেকে বাদ পরে। তাই ওই ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে হাইকোটে রিট করে। সেই রিটের রায়েও ৫৯জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রায় পায়। সেই রায়ের কপি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ে জমা দিলে তাদের নাম গেজেটে না আসে নাই। এবিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন,ভারতের টেনিং শেষ করে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করি।

সরকার নির্ধারিত দুইটি যাচাই-বাচ্ছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া হাইকোটের রিটেও
আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রায় পায়। অথচ গ্রেজেটে আমার নাম উঠে নাই।তিনি আরো বলেন, আমাদের নাম গ্রেজেট ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এমন কর্মসূচি অব্যহত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন খাঁন জানান,২০১৮ সালে হাই কোটে রিট করেন
তিনি। রিট নং ৮৪০২। সেই রিটে আমাদের পক্ষে রায় দিয়ে আমাদের নাম গ্রেজেটে উঠানোর জন্য এবং ভাতা দেওয়ার জন্য মন্ত্রালয়কে নির্দেশ দেন। তারপরও আমাাদের নাম গ্রেজেটে উঠে নাই। তিনি আরো মুক্তিযোদ্ধা সম্মনি ভাতা বর্তমানে ব্যাংকে এমআইএস মাধ্যমে আসেব কিন্তু সেখানে তারা ভাতা পাবে না। যার কারনে তারা বিক্ষোভ মিছিল চারিয়ে যাবে।

তাই আমাদের দাবি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমরা কেন গ্রেজেট থেকে বাদ যাব। তাই দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি আমাদের নাম গ্রেজেট ভুক্ত করার জন্য আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।