ধামরাইয়ে বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও সরকারি ছুটির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ।

Loading

ঢাকার ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া এলাকায় বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও সরকারি ছুটির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিঃ কারখানার শ্রমিকরা। ভোর ৬টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল আটটার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিত হয়।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাতটার দিকে এ দাবিতে কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে এ সড়কে যান চলাচল। মহাসড়কের উভয় দিকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ এবং গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সকাল পৌণে ৯ টার দিকে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। এদিকে মহাসড়কে দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহনের কয়েক কিলোমিটার লাইন লেগে যায়।

আকিজ ফুডের আন্দোলনরত শ্রমিক সাহিদা, সাজ্জাদসহ কয়কজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডেইলি বেসিক এ আকিজ ফুডে কর্মরত রয়েছেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক। কাজের বিনিময়ে দৈনিক তাদেরকে ১৮০ টাকা করে মুজুরি দেওয়া হয়। যা বর্তমান সময়ে খুবই কম। এছাড়া সরকারি ছুটির দিনেও তাদেরকে কাজ করতে হয়। কাজে যোগ না দিলে হাজিরা বোনাস কর্তন করা হয়। বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও সরকারি ছুটির দিনে কারখানায় কাজ বন্ধ রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।

এ বিষয়ে আকিজ ফুড এ্যান্ড বেভারেজ কারখানার এডমিন অফিসার মাসুদ রানা জানান, ভোর ৬ থেকে দুপুর ১২ টা, দুপুর ২ টা থেকে রাত ১০ টা এবং রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা ও সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ডেইলি বেসিক এ প্রায় এক হাজার শ্রমিক কারখানায় কর্মরত রয়েছেন। দৈনিক ১৮০ টাকা হাজিরা ভিত্তিতে তারা কাজ করেন। এছাড়াও তাদের হাজিরা বোনাস রয়েছে তিনশো টাকা।

কারখানার হেড অব প্ল্যান্ট অফিসার নূর ফেরদৌস জানান, কোনো ধরণের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভোর থেকে শ্রমিকরা ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের দাবি দাওয়া পূরণ করা হবে।

গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধামরাই থানা পুলিশও এতে সহায়তা করেন। দুই ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।