ধামরাইয়ে মসজিদ ভাঙ্গচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

Loading

ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাইচাইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে এক চল্লিশ বছরের পুরোনো একটি জামে মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে ওই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী লিটনসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে। এবিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পুলিশ হান্নান ও মোজা দেওয়ান নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে । এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।

সরে জমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাইচাইল গ্রামে ‘ইনসাফ’ নামে একটি আনরেজিষ্ট্রার্ড সমিতি রয়েছে। এই সমিতির পাঁচশত ৮৪ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমিতে একটি বড় ঈদগাহ মাঠ, তিনটি পুকুর, একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও অনেকগুলো বড় বড় মূল্যবান গাছ রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই সমিতির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। এনিয়ে শনিবার গভীর রাতে সন্ত্রাসী দেওয়ান মোতাহার হোসেন ও লিটনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনি ওই চৌচালা মসজিদটি ভেঙ্গে পাশে একটি পুকুরে ফেলে রাখে।

পরেদিন সন্ত্রাসী লিটন তার বাহিনি নিয়ে এলাকায় বলে যে মসজিদেও পক্ষে কথা বলবে তার লাশ পরে থাকবে পুকুরে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদ ভাঙ্গা ও গাছ কাটার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হান্নান ও মোজা নামের দুই জনকে গ্রেফতার করে।

বাইচাইল গ্রামের আব্দুল বারেক, তোতা মিয়া,আবুল কালাম সহ এলাকার অন্যান্য লোকজন জানান, বেশ কিছু দিন থেকে এলাকার মোতাহার, মুশফিকুর রহমান চৌধুরী জাহাঙ্গীর,লিটন গংরা ওই মসজিদে তাদের নামাজ পড়তে বাঁধা দিয়ে আসছিল। গত শনিবারও মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়েছেন। কিন্তু পর দিন রবিবার সকালে এলাকাবাসী মসজিদটি গুঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার হান্নান ও মোজা দেওয়ানকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জানান,গ্রামের দীর্ঘদিনের পুরাতন মসজিদ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন বাহিনি রাতের আধারে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। তাই আমি এলাকাবাসীর পক্ষে ৩৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছি।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনায় ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।