ধামরাইয়ে স্বপ্ন ডানা পরিবারের পক্ষ থেকে গড়ে উঠছে মানবতার দেয়াল।

Loading

মোঃসম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) ঢাকার ধামরাইয়ে হার্ডিঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে গড়ে উঠছে “সপ্নডানা পরিবারের” উদ্যোগে মানবতার দেয়াল। যেখানে স্বচ্ছল পরিবারের ব্যবহার করা পোশাক, লেখাপড়ার সামগ্রী প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ে যেতে পারছেন অসহায় হতদরিদ্ররা।

সমাজের ধনী ও গরিবের মাঝে মানবিকতার সেতুবন্ধন সৃষ্টি করাই মূল উদ্দেশ্য বলে জানান স্বপ্ন ডানা পরিবারের সদস্য শাহরিয়ার ফেরদৌস রানা । তবে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলে এ ধরনের উদ্যোগ যে কোনো সমাজের জন্যই রোল মডেল হতে পারে বলে মত সুশীল সমাজের।

দেয়ালে সাজানো আছে শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ কিংবা শিশুদের জামাকাপড়। রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে আছে ব্যবস্থা। একদিকে নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র রাখা হচ্ছে।

এক রিকশা চালক বলেন, একটা প্যান্ট কিনতে গেলে ৫০০-৮০০ টাকা লাগে। আমি এমনিতেই পেয়ে গেলাম, এটা আমার জন্য অনেক বেশ উপকার।

ধামরাই কলেজের সাবেক ভিপি মাসুদ রানা বললেন আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন যেগুলা পড়তে পারে না, আমি সেগুলো এখানে দিয়ে যাবো।
নিঃস্বার্থ এমন আয়োজনের পাশে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান উদ্যোক্তাদের।

আমরা সমাজে অসহায় মানুষদের পাশে কি ভাবে দাঁড়াবো, সেই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।

আরেকজন জানান কারো কাছে হাত পেতে নিবে কিছু, কিন্ত লজ্জায় চাইতে পারছে না, তাই এই ধরণের প্রয়োজনটা যেন তারা সহজেই পূরণ করতে পারে, সে জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।

প্রতিদিনের সংবাদপত্র কিংবা টিভির পর্দা খুললেই যেখানে সমাজের হানাহানি আর বিদ্বেষ লেগেই থাকে, সেখানে যে কোন সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে মানবতার দেয়াল।

অসহায় মানুষকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন।

ফুটপাত কিংবা অলি-গোলিতে দিন পার করে এমন অসংখ্য মানুষ। যেখানে সুউচ্চ ভবনে কারো হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি আছে সবকিছুই। মানবতার দেয়ালের মতো এমন উদ্যোগে । যেখানে সত্যিই একদিন মানুষ মানুষের জন্যই হয়ে উঠবে।