নওগাঁয় যুবলীগ নেতাকে পিটালেন ওসি, সমাধানে দফায় দফায় বৈঠক করলেন ইউএনও

Loading

আপেল মাহমুদ, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়া মারীয়া পেরেরা বিষয়টি সমাধান করে দেন।ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে থানায় ওসির কক্ষে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমরান হোসেনের চাচাতো বোনের সঙ্গে মোবাইলে মহাদেবপুর উপজেলার এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবক হরিপুর গ্রামে রোববার দুপুরে দেখা করতে যান।

যুবকের সঙ্গে মেয়েকে কথা বলতে দেখে এ নিয়ে ইমরান হোসেনের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। ইমরান হোসেনের পরিবারের একপক্ষ ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবে বলে জানায়। কিন্তু ইমরান অভিযোগ না দিয়ে স্থানীয়ভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চান।এ অবস্থায় ওসি আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। কিন্তু এতে বাধা দেন ইমরান হোসেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় ওসির কক্ষে ইমরান হোসেনকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন ওসি। পরে ইমরান হোসেন সেখান থেকে চলে যান।ঘটনার পর দফায় দফায় বৈঠকের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরার মধ্যস্থতায় রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ইমরানের চাচাতো বোনের সঙ্গে গ্রামে এক ছেলে দেখা করতে এসেছিল। এ নিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে মেয়ের পরিবারের দ্বন্দ্ব হয়।

পরে অভিযোগ করার জন্য থানায় গেলে মারধরের ঘটনা ঘটে।নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা প্রণব কুমার সাহা বলেন, ইমরান বিকেলে হাসপাতালে আসেন। তার অভিযোগ ছিল তাকে মারধর করা হয়েছে। তবে তার শরীরে গুরুতর কোনো আঘাত আমরা পাইনি। পরে তিনি বলেন ঘাড়ে এবং কানে আঘাত পেয়েছেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কানে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছি।

এখন অনেকটা সুস্থ আছেন তিনি।নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদের বলেন, আসলে তাকে জোরে মারা হয়নি, যা আহত হওয়ার মতো ।নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়া মারীয়া পেরেরা বলেন, বিষয়টি তেমন কিছুই না। সাধারণ একটি বিষয়। উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে।