সময় ডেস্কঃদেশে দেশে রাত ১২টা বাজতেই আলো আর রঙে ভরে ওঠে আকাশ। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে এরই মধ্যে বরণ করেছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। সংক্রমণ এড়াতে কোথাও কোথাও বিধিনিষেধের খড়গ নেমে এলেও উৎসবে মেতে ওঠে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং করোনার উৎপত্তিস্থল চীন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত -আকাশজুড়ে যেন শুধু আলোরই খেলা। ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা এক মিনিট বাজতেই দুবাইয়ের অন্যতম উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা আতশবাজি আর আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। নানা বিধিনিষেধ দিয়েও মনমুগ্ধকর এ আয়োজন থেকে বিরত রাখা যায়নি সাধারণ মানুষকে।
থাইল্যান্ড-থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও জমকালো আলোক প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়। আর তা দেখতে শহরের চাও ফ্রায়া রিভারে ভীড় করেন বহু মানুষ।
হংকং-খ্রিষ্টীয় নববর্ষের উৎসবে মেতে উঠে হংকংয়ের বাসিন্দারাও। চোখ ধাধানো আতশবাজি ও বর্ণিল আলোকসজ্জার মধ্যদিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়। মনোমুগ্ধকর এ আয়োজন দেখতে জড়ো হন হাজারো মানুষ। আতশবাজির রঙিন ছটায় নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেন তারা।
চীন-করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে ২০২১ সালকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনসমাগমে বিধিনিষেধ থাকলেও সেখানে উল্টো চিত্র। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শহরটিতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। উহান ছাড়াও চীনের অন্যান্য শহরেও নতুন বছরকরে বরণ করে নিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উত্তর কোরিয়া-উত্তর কোরীয়রাও নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। জমকালো আতশবাজি প্রদর্শনী উপভোগ করেন তারা।
অস্ট্রেলিয়া-খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আতশবাতির রঙে রঙে ছেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার আকাশও। ঐতিহ্যবাহী সিডনি হারবারের মনোমুগ্ধকর এ আতশবাজির আয়োজন করা হয়।
তবে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে নিষিদ্ধ ছিল জনসমাগম।
নিউজিল্যান্ড-এর আগে, আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর।
ঘড়িতে স্থানীয় সময় রাত ১২টা বাজতেই প্রায় এক হাজার ফুট উচ্চতার স্কাই টাওয়ারের বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় নিউজিল্যান্ডবাসী। করোনার কড়াকড়ির মধ্যেই আলোর উৎসব দেখতে জড়ো হন বহু মানুষ। এছাড়া তাইওয়ানের ইপেই ওয়ানওওয়ান টাওয়ারেও চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা দেখা যায় নববর্ষের ক্ষণে।