নারী নির্যাতন বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অপচেষ্টা চলছে : তথ্যমন্ত্রী

Loading

ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২০ : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নারী নির্যাতন বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে কেউ কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে’।

তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে কেউ কেউ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন, তাদের উদ্দেশ্য অপরাধীদের শাস্তি দেয়া নয়, এই ইস্যুর আড়ালে স্বার্থ চরিতার্থ করা।’

তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে কেউ কেউ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে- এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন।

তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মজিদ, নূরে জান্নাত আকতার সীমা ও কাউন্সিল সচিব শাহ আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইদানিংকালে যে সমস্ত অনভিপ্রেত ঘটনা বিশেষ করে নারী ও শিশুনির্যাতন ঘটেছে, সেগুলোর অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, প্রতিবাদ হবে, সেটা স্বাভাবিক এবং প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষে ব্যবস্থা নেয়াও সহজ হয়।’

‘কিন্তু এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা সেখানে সরকারের পদত্যাগ চায় কিংবা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করে, তখন বুঝতে হবে এদের উদ্দেশ্য নারী এবং শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি দেয়া নয়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ইস্যুর আড়ালে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা এবং এটি বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার একটি অপচেষ্টা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকার অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।

তথ্য মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ‘তথা মন্ত্রণালয় এধরনের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বহু আগে থেকেই প্রচার কাজ চালিয়ে আসছে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এক্ষেত্রে কাজ করছে। আজকের প্রেক্ষাপটে এবিষয়ে প্রচার কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। একইসাথে ওটিটি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে যাতে দেশের আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পরিপন্থী কিছু আপলোড করা না হয়, সেজন্যও আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।’

ড. হাছান মাহমুদ এসময় প্রতিবেদন উপস্থাপন ও সম্পাদিত কার্যাবলীর জন্য প্রেস কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনটি তিনি প্রথানুযায়ী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে গঠিত প্রেস কাউন্সিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। প্রেস কাউন্সিল আইন যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।