পাকতে শুরু করেছে অনিমা আম বাজার এর বাগানের আম

Loading

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে পাকতে শুরু করেছে আম।বর্তমানে দু একটি অনিমা আম বাজার এর মালিকে বাগানে আম পাকা দেখা দিয়েছে।আম পাকতে শুরু করেছে বলে বুধবার থেকে সল্প পরিসরে কাঁচামিষ্টি আম পারা শুরু করেবে।

বর্তমানে কেবল কাঁচামিষ্টি ও বৈশাখি গুঠি বাগান থেকে সংগ্রহ করা হবে। তবে স্থানীয় জাতের গুটি আমও সামান্য পরিমাণে পাঁকছে। ”

অনিমা আম বাজার এর কর্নধার পিয়াংকা রানী মন্ডল(শ্যামা) বলেন, “এই মাসের শেষের দিকে আম বাগার গুলো পাকা আমে ভরপুর হয়ে যাবে। বাগানে সব আম না পাকাই এখনই আম ভাঙ্গছে না। আরও ১৫/২০ তারিখের দিকে গোপালভোগ আম ভাঙ্গা হতে পারে।

বাঘা থানার বরিহার গ্রামের অনিমা আম বাজার এর কৃষক তরুন সরকার বলেন এখন দু একটা গাছে বৈশাখি গুঠি পাকা দেখা যাচ্ছে।তবে কাঁচামিষ্টি আম কাচাই খেতে হয় তাই কাল কাচামিষ্টি আম পারবো আমরা।

তিনি আরও বলেন ামাদের বাগানে ১৬ প্রজাতির আম আছে তার মধ্য গোপাল ভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি,তুতাপরি,দুদসর,হাতিঝোলা,ইলশা পেটি,কুদাল কাঠি, বুলবুলি,মহোনভোগ বেশি বিক্রি হয় অনলাইনে।আর লক্ষনভোগ,আর্ষিনী, আরা,জামানি,জহুরা ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন আড়ৎ এ পাঠাই।

বর্তমানে বাগান থেকে কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৬থেকে ৮’শ টাকায়। আর প্রতিমণ আম প্যাকিংয়ে খরচ হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকায়। এসব আম চলে যাচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর বুকিং কাউন্টারে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা কাঁচা আম বিক্রি করি বলে কেমিকেল মেশানোর প্রয়োজন হয় না। ঢাকার ফল ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে আম কিনে প্যাকিং করার সময় কেমিকেল মেশায়। বেশি লাভের জন্য তারা অপরিপক্ক আম সংগ্রহ করে। ”

এবার রাজশাহী জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদী কৃষিবিদ ও ব্যবসায়ীরা । অনুকূল আবহাওয়া, কম পোকার সংক্রমণ, পুরাতন গাছে আম ধরা প্রভৃতি কারণে এবার আম উৎপাদন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।