অবশেষে বহু বির্তকিত ঘটনার নায়ক যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান ও এসআই মনির হোসেনকে সাতক্ষীরা জেলায় বদলী করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
বহু বির্তকিত ঘটনার স্বাক্ষী এই দুই এসআই বেনাপোল পোর্ট থানায় দীর্ঘদিন থাকার পর সাধারন মানুষের সাথে একটা সক্ষতা গড়ে উঠলে ও পরে তা মাদক বিক্রেতা ও সাধারন মানুষের হয়রানী করার মধ্যে দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে । বেনাপোল সীমান্ত কবলিত এলাকা হওয়ার কারনে মাদকের পক্ষে হয়ে কাজ করে বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থ আয় করে আসছিল এই বির্তকিত দুইজন এসআই হাবিব ও মনির। মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদেরকে অর্থের বিনিময়ের ছেড়ে দেয়া সহ তাদের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে স্থানীয়রা বহুবার টেলিভিশন,পেপার পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে লেখার অভিযোগের মাধ্যমে পুলিশের উর্দতন কর্মকর্তাদের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করেও কোন ধরনের সুফল পাওয়া যাচ্ছিলনা। তবে তারা বার বার অর্থের বিনিময়ে জেলার সেরা এস আই নির্বাচিত হলেও তাদের কু-কর্মগুলি পুরস্কারের আড়ালে থেকে যায়। সাধারন মানুষ অভিযোগ করে বলেন দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করলেই তবেই বেড়িয়ে আসবে তাদের সম্পদের ফিরিস্তি ও অল্পতে কোটিপতি বনে যাওয়া এই এসআই মনির হোসেন ও শরীফ হাবিবুর রহমানের।
স¤প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রাম থেকে মাদক বিক্রেতা মহিলার নিকট থেকে ৩ লাখ ও নিরীহ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে হাজত খানা থেকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে এই নিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করা হলে অবশেষে দৃষ্টি পড়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। এর সুবাধে এক সপ্তাহের পূর্বে এক প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে সাতক্ষীরা জেলায় বদলী করা হয়েছে বলে বেনাপোল পোর্ট থানা সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে দুইজন এসআই এর বদলী খবর বেনাপোল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষরা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনর্চাজ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধিকে বদলীর সত্যতা নিশ্চিত করেন।