পৌর নির্বাচন: আড়ানীতে দুই সাংবাদিকের ওপর আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা

Loading

সৌমেন মন্ডল,রাজশাহী ব্যুরোঃ প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের দ্বারা হামলার স্বীকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাহাপুর ও পেয়াদাপাড়া এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছেন আহত দুই সাংবাদিক।

আহতরা হলেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন মাহফুজুর রহমান রুবেল ও দিপ্ত টিভির ক্যামেরা পার্সন ইসলাম উদ্দিন।

রুবেলের মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসময় রুবেলের ক্যামেরাটিও ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। গণসংযোগকারী রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের এক নারী কর্মীর শাড়ি ধরে টেনে-হিঁচড়ে তাকে লাঞ্চিত করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

আহত রুবেল বলেন, পেশাগত দায়িত্বপালনকালে আকস্মিকভাবে মুক্তার আলীর সমর্থকরা হামলা চালান। এসময় আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। হামলাকারীরা আমার মোবাইল সেটটি ভেঙে ফেলে। তারা আমার ক্যামেরাও ভাঙার চেষ্টা করে। এসময় দিপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন রফিকুল ইসলামকেও মারধর করা হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর কারণে রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের এক নারী নেত্রীকেও লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। হামলার শিকার দুই সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

রুবেল জানান, বাঘায় যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা নৌকার লিফলেট নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছিড়ে ফেলছিলেন। এই দৃশ্য তারা ভিডিও করছিলেন। আর তখনই বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এক সমর্থক তার গলা টিপে ধরে বলে, ‘সাংবাদিকের বাচ্চা তোকে আজ মেরেই ফেলব’। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি।

এদিকে ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে পরে দুই সাংবাদিকসহ লাঞ্চিতের শিকার যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করেন। কিন্তু থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে বিকেল তিনটার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনটি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিব।

প্রসঙ্গত, এ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়েছেন শাহিদুজ্জামান শাহিদ, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তোজাম্মেল হোসেন এবং স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

মুক্তার আলী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী হলেও পুলিশ তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ।