করোনা পরীক্ষায় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় রাজধানীর প্রাভা হেলথকেয়ার এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (০২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিটি প্রাভা হেলথকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়ে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পেয়েছে, যা অগ্রহণযোগ্য। এ অবস্থায় তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হল।
যেসব অনিয়ম দেখা গেছে সেগুলো হলো-
১. করোনাভাইরাসের নমুনা কালেকশন বুথে পৃথক ডনিং এবং ডফিং রুম থাকার নিয়ম থাকলেও প্রাভা হেলথে একই কক্ষে দুটি কাজই চলছিল, যা অগ্রহণযোগ্য।
২. প্রত্যেক বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও প্রাভা হেলথ নিবন্ধন ফির নামে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা আদায় করছিল।
৩. আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টে বিএমডিসির নিবন্ধিত একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর প্রয়োজন, কিন্তু প্রাভা হেলথের দেওয়া কোনো প্রতিবেদনে কোনো চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছিল না।
৪. প্রাভা হেলথ তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের ‘পার্টনার’ বলে দাবি করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টির ব্যাখ্যা চাইলে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। বরং ওই শব্দটি পরিবর্তন করে ‘আওয়ার করপোরেট ক্লায়েন্টস’ লিখেছে।
এর আগে ২০১৮ সালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা চালুর ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসে প্রাভা হেলথকেয়ার। রাজধানী বনানীর ১৭ নম্বর সড়কে প্রাভা হেলথের প্রধান কার্যালয়।
প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ, রোগ নির্ণয়, ওষুধ, অনলাইনে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা সেবা দিয়ে আসছিল। সেই সঙ্গে মহামারি করোনাভাইরাস শুরু পর করোনার নমুনা পরীক্ষাও করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।