বন্ধুর বাবার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে পিটুনীর শিকার ৬ জাবি শিক্ষার্থী

Loading

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বন্ধুর বাবার বিয়ে ঠেকাতে এসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী স্থানীয়দের হাতে প্রহৃত হয়েছেন। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।

পুলিশ হেফাজতে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ৪২ তম ব্যাচের রকিবুল হাসান, নাট্যতত্ব বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ মেহেদী, রিশা আইরিন, রেদোয়ান মাহফুজ, ক্যামেলিয়া চুঁড়া ও দিপংকর বড়ুয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজতারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের (৭০) মেয়ে রিশা আইরিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। এ সময় তার বাবা আব্দুস সামাদ দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করলে রিশা বিষয়টি টের পেয়ে তার পাঁচ বন্ধুর কাছে সাহায্য চান।

এর প্রেক্ষিতে রবিবার সন্ধায় বন্ধুরা তাড়াশে এসে রাতে রিশার বাবার সাথে বিয়ে প্রসঙ্গ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এসময় উত্তেজিত হয়ে রিশার বাবা স্থানীয়দের ডেকে এনে রিশাসহ তার বন্ধুদের পিটুনী দেন। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ রাত ২টার দিকে রিশাসহ ৬জনকে থানায় নিয়ে আসে।

এদিকে, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ প্রশাসন খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করলে বিপাকে পড়ে পুলিশ।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রিশার বাবা সামাদসহ স্থানীয় লোকজন তাড়াশ থানায় পুলিশের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করছেন বলে লক্ষ্য করা গেছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে রিশার বাবা আব্দুস সামাদ বলেন, “আমার স্ত্রী নাজমুননাহার (৬০) পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ শয্যাশায়ী রয়েছেন। তাকে আমি নিজেই দেখাশোনা করছি। কিন্তু বর্তমানে আমি নিরুপায় হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তাভাবনা করি। বিষয়টি আমার মেয়ে জানতে পেরে তার বন্ধুদের ডেকে এনে আমাকে লাঞ্ছিত করে”।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “আহত শিক্ষার্থীদের স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবার প্রক্রিয়া চলছে”।