বর্তমানে পৃথিবীর আবহাওয়া এতোটাই বদলে গেছে যে, ঋতুর আচরণও পাল্টাতে শুরু করেছে ।

Loading

সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিঃশিশির জমা দুর্বাঘাসে শশীর আলো পড়ে, দীপ্ত দ্যুতি ঝলমলিয়ে সবার মন কাঁড়ে।কবির এ কথার রেশ ধরেই যেন আশ্বিনের মাঝামাঝি সময়ে এসে শীতের বার্তা এলো শিশিরে।বর্তমানে পৃথিবীর আবহাওয়া এতোটাই বদলে গেছে যে, ঋতুর আচরণও পাল্টাতে শুরু করেছে। আঁচ করা কঠিন হয়ে পড়েছে গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীতের মতো প্রধান ঋতুর আচরণ। জলবায়ু বিপর্যয় প্রকৃতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এরপরেও বদলায় ঋতু।

ঝালকাঠিতে কয়েকদিন থেকে ভোরে দুর্বাঘাসের মাথায় শিশির বিন্দু ও সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীতের আগমনি বার্তা।

প্রকৃতির নিয়মে গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আশ্বিনের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছে হাল্কা শীতের আমেজ। সন্ধ্যা ও ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ আর হাল্কা ঠান্ডা বাতাসে শীতের আমেজ লক্ষ্য করার মতো।

এখন যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তারা দেখতে পারেন কুয়াশার বুকচিরে ভোরের সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য। গ্রামবাংলার নদ-নদী অববাহিকায় আর গ্রামীণ জনপদে সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত এসেছে।

আশ্বিনের মাঝামাঝিতে ভোরবেলা দুর্বা ঘাসে শিশির দেখা যায়। কয়েকদিন থেকে ফ্যানের প্রয়োজন হচ্ছেনা। তাই শীত শির শির করে দরজায় করা নাড়ছে।

প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আবহাওয়া আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আশ্বিনের মাঝামাঝি সময়ে শীত উপলব্ধি করা যাচ্ছে।

তাই বলা চলে, এই কালো এই আলোর মাঝে কুয়াশা প্রকৃতির রং চটা আঁধারের ঘণ ঘটা সবকিছু ঠিক বুঝি নেই ভরসা তারপরেও ভাল আছি মাঝে ধোঁয়াশা । শীতের শিশির ভেজা হিমেল বার্তা সুখ নিয়ে আসুক সবার জীবনে এমনটাই প্রত্যাশা।

শীতের সময় ভ্রমনপ্রেমিরা বিভিন্ন জেলার পর্যটন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে থাকেন। শীত মানে সকালে মিষ্টি খেজুর রসের সাথে মিতালী।শীতের সময় যতোসব রুচিশীল খাবারের আয়োজন চলে গ্রাম কিংবা শহরে।

গত কয়েকদিন থেকে সকালে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তা-ঘাট। সকালে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে অনুভূত হচ্ছে শীত।

ঝালকাঠি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় বাতাসের তাপমাত্রা কমে আসায় সকালের দিকে শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোর রাতে গরম কাপড় গায়ে জড়াতে হচ্ছে। এতে করে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে সর্দি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঋতু বৈচিত্রের কারনে এ জনপদের প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটেছে।