বাসায় ফেরেননি বহুল আলোচিত তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ
পদ হারানো বহুল আলোচিত তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডা ও দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরেছেন। তবে ঢাকায় ফিরলেও ধানমন্ডির নিজ বাসায় যাননি।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুবাই থেকে ছেড়ে আসা তাকে বহনকারী এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটটি বিকেলে ৫টা ৭ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হতে দেখা যায় মুরাদকে। এরপর সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোথায় গেছেন তা জানা যায়নি। রাতে ধানমন্ডির বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের কাছে ফেরেননি বলে জানা গেছে।
ডা. মুরাদের তিনটি বাসার মধ্যে একটি রাজধানীর শান্তিনগরে, একটি ধানমন্ডিতে এবং অপরটি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া মিন্টো রোডে। তবে প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কারণে মুরাদ মিন্টো রোডের বাসার অধিকার হারিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি বরাদ্দের ওই বাসায় তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকার সময়েও খুব একটা যাননি। শান্তিনগরের বাসাতেও তার তেমন যাতায়াত নেই। তবে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যাচ্ছেন কি না, সে ব্যাপারেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে জামালপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে জামালপুরে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও সম্প্রতি তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পাঠানো হয়। সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতির প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মুরাদের ফেরার দিন তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়েছে বিভিন্ন জেলায়।
অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত, নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান এবং এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি পদত্যাগ করেন। সেদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
কোভিড সনদ না থাকায় না থাকায় এবং অন্যান্য প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় কানাডায় ঢুকতে পারেননি তিনি। পরে দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অবশেষে ফিরতে হলো দেশেই।