বিচারের বাণী নিরবে নিবৃতে কাঁদে বরগুনায় উৎকোচের বিনিময়ে মামলার নথি গায়েব

Loading

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথি গায়েব করা হয়েছে। মামলার পরবর্তি তারিখতো নেইই বরং নথি গায়েবের কারনে বিচারের বাণী নিরবে নিবৃতে কাঁদে।

রবিবার তালতলী প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তালতলী উপজেলার আলীরবন্দর এলাকার সিদ্দিক দফাদারের কন্যা সালমা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সালমা বলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপার চিকনিকান্দি এলাকার দেলোয়ার মোল্লার ছেলে আবুবকর ছিদ্দিক মামুনের সাথে ২০১৫সালের ১৯জুন আমার বিয়ে হয়। এসময় বাবা যৌতুক হিসেবে নগদ ১লক্ষ টাকা এবং ১লক্ষ টাকার মালামাল দেন। বিয়ের বছর খানেক যেতে না যেতেই স্বামী আবুবকর ছিদ্দিক মামুন মটরসাইকেল কেনার জন্য আরো ১লক্ষ টাকার দাবী করেন। বাবার পক্ষে যৌতুক লোভী স্বামীর এ দাবী মেটাতে না পারায় আমার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায় শশুর, শাশুরী ও স্বামী মারধর করে আমাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন উপায়ান্ত না পেয়ে বাবার বাড়ী চলে এসে অ্যাডভোকেট খাইরুল ইসলামের মাধ্যমে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-৫৪৫/১৮। করোনায় আদালত বন্ধের পর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আমার আইনজীবি অ্যাডভোকেট খাইরুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মামলার নথি হারানো গেছে। নথি পাওয়া গেলে জানানো হবে।

ভূক্তভোগী সালমার অভিযোগ বিবাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় মামলার নথি গায়েব করা হয়েছে। এ কারনে মামলার পরবর্তি তারিখও জানা যায়নি এবং মামলার কোন অগ্রগতি নেই। নথি গায়েব হওয়ার কারনে বিচারের বাণী নিরবে নিবৃতে কাঁদে।

এবিষয় ভূক্তভোগী সালমার আইনজীবি অ্যাডভোকেট খাইরুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার কপি আমার কাছে রয়েছে তবে আদালতের নথি পেশকার খুজে পাচ্ছেনা। নথি খুজে না পাওয়ার কারনে মামলার পরবর্তি তারিখ জানতে পারিনি। নথি খুজে পাওয়া গেলে মামলার পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।