বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি দালালদের সাথে নিয়ে করছে সিন্ডিকেট এর বৈঠক ।

Loading

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশ ওসি খোরশেদ আলম যোগদান করার পর পরই ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট অফিসের মধ্যে চিহ্নত দালালদের নিয়ে তৈরী করেছে টাকা আদায়ের বিশাল সিন্ডিকেট। কারনে অকারনে পাসপোর্ট যাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে ফাদে ফেলে হয়রানী সহ টাকা আদায় করছে।বাংলাদেশে যে সমস্ত দেশের দূতাবাস নাই পাশের দেশ ভারত থেকে সে সব দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশীরা ভারতে যায়। তাদেরকে বিদেশ পার্টি হিসাবে আখ্যায়িত করে পাসপোর্ট প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে তাদের পাসপোর্টে ডিপারচার সিল দেওয়া হয়।এ কাজে ওসিকে সহযোগিতা করে এসআই হামিদ,কনস্টেবল হাসিব ও কম্পিউটার ইনজিনিয়ার আমিনুল।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ইন্টিগ্রেটেড চেকপোষ্ট হওয়ায় এই চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতীয় ভিসা প্রাপ্ত সকল পাসপোর্ট ধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে। কিন্ত ওসি খোরশেদ আলম পাসপোর্ট যাত্রীদের ভিসায় অন্য চেকপোষ্টের নাম থাকলে তাদের ইমিগ্রেশন সিল না দিয়ে বাহিরে ফেরত পাঠায়। পরবর্তীতে ওসির নিয়োগকৃত দালালের মাধ্যমে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করে তাদের পাসপোর্টে সিল দিয়ে ভারতে পাঠায়।

১ বছরের ভিসা থাকলেও পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাস নেই বলে ওসি রিপোর্ট দেখিয়ে ওসির নামে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করে সিল দেয়া হয়।যাত্রীর পাসপোর্টে উলেখ কৃত পেশার প্রত্যায়ন পত্র দেখাতে না পারলে ২ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যাত্রীদের পাসপোর্টে ডলার ইনর্ডোসমেন্ট না থাকলে ডেস্ক থেকে সরাসরি যাত্রীদের ওসির রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ওসির সিন্ডিকেট সদস্য কনস্টবল হাসিব দালাল সোহেল,তালেব,দেলোয়ার ও কবিরদের সাথে দফারফা করলেই সব ঠিক হয়ে যায়। ইমিগ্রেশনের ওসির নিয়োগকৃত দালালদের চিহ্নত করতে সিসি টিভির ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলেই দেখা যাবে। ভারতীয় পাসপোর্টে বিজনেস ভিসা থাকলে ইমিগ্রেশন সিল লাগাতে হলে ওসির নির্দেশে প্রতি পাসপোর্ট যাত্রীকে ২ শ টাকা ঘুষ দিতে হয়। ১৫ জন লোক ইমিগ্রেশন অফিসের ভিতরে কাস্টসম সাইডে ল্যাগেজ পার্টির মালামাল কাস্টম চেকিং থেকে ছাড় করানোর কাজ করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন বলেন ওসি খোরশেদ স্যার আমাদের সবার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা হারে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা আদায় করে। সে আরো বলে ইমিগ্রেশন ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত কাস্টমস অফিসের পাশে থাকতে হলে এ টাকা ওসি স্যার কে দিতে হবে।

যাত্রী হয়রানী নমুনা হিসাবে বিনা কারনে শত শত যাত্রীকে রোধ বৃষ্টি মধ্যে বাহিরে দাড় করিয়ে রাখা হয়।ভিতরে অল্প কয়েকজন যাত্রীকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।ওসির খাস লোক দালাল সোহেল নিজেকে এসবির নিয়োগকৃত লোক বলে পরিচয় দেয়।

ওসি খোরশেদ আলম যাত্রীদের সাথে সব সময় অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন।তিনি অফিস টাইমে পুলিশের নির্ধারিত পোষক না পড়ে সব সময় হাফ হাতা প্রিন্টের টি সার্ট পড়ে থাকেন। অপর দিকে সাংবাদিক যাতে সরাসরি ইমিগ্রেশন অফিসে ঢুকতে না পারে সে জন্য খাতায় নাম এন্ট্রির ব্যবস্থা চালু করেছেন। কোন সাংবাদিক ইমিগ্রেশনে ঢুকতে গেলে মাঝ পথে একজন কনস্টেবল তাকে থামিয়ে খাতায় না এন্ট্রি করতে বলে এ সুযোগে সে ওসিকে ফোন করে।ততক্ষনে ওসি তার অপকর্ম বন্ধ করে ফেলে ।

এ ব্যাপারে ওসি খোরশেদ আলমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমাদের অফিসের সমস্ত কায়ক্রম ঢাকা হেড অফিস থেকে মনিটরিং করা হয়। সে জন্য মাঝে মধ্যে যাত্রীদের শৃংখলা ফেরাতে ইমিগ্রেশনে প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।কোন যাত্রী হয়রানী বা কারো কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা নেয়া হয় না। বিষয়টি এসবির উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবী জানিয়েছে ভোক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীরা।